বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
শাহ মো. জিয়াউদ্দিন
আদি সামন্তদের গোত্র ব্যাবস্থা এবং আজকের কথিত গণতান্ত্রিক সমাজ উভয়েই পরিচালিত নেপথ্যের কলকাঠি দ্বারা। এই কলকাঠির ক্রীড়নকরা নিজেদের স্বার্থে শাসন পরিচালনার নীতি তৈরি করে। এ রকম তৈরি করার মূল কারণ হলো এরা মানুষ এবং প্রাকৃতির সম্পদকে নিজেদের ভোগের বস্তুতে পরিণত করার মানসে। নিজেদের বিলাসবহুল আরামে-আয়েশের জীবন কাটানোর জন্য শাসনতান্ত্রিক নিয়ম-নীতিতে এরা নানা কৌশল উদ্ভাবন করে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো শ্রম। মানুষের শ্রমের ফলে প্রাকৃতিক সম্পদ পরিণত হয় ভোগের বস্তুতে। তাই সকল কিছুর উৎপাদনের মূল শক্তি মানুষ। শাসনতান্ত্রিক ক্রমবিকাশের ইতিহাসে দেখা যায়, যুগে যুগে এই মানুষকে অধীনস্থ করে রাখার নানা কৌশল উদ্ভাবন করেছে ভোগবাদীরা। ভোগবাদীরা শাসনযন্ত্র এমন ভাবে তৈরি করতো, যাতে করে এই যন্ত্রটাকে রাষ্ট্র কাঠামোতে বসিয়ে তাদের স্বার্থ সিদ্ধি করতে পারে। সারা বিশ্বের মানুষের নিপীড়ন, শোষণ-বঞ্চনার শৃঙ্খল ভাঙ্গতে পৃথিবী যে কয়েকজন মহামানব লড়াই করে গেছেন, তাদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অন্যতম। বর্ণবাদ, গোষ্ঠিগত দাঙ্গা, নানা ধরনের শোষণ, গনতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িক সাম্যের সমাজ কাঠামো বিনির্মাণের এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষে সংগ্রামী বিশ্ব নেতাদের মধ্যে ভ. ই লেলিন, মাও সেতুঙ, ফিডেল কাস্ট্রো, নেলসন ম্যান্ডেলা, মার্টিন কিং লুথার, মহাত্মা গান্ধী অন্যতম সারা পৃথিবীর বাঙালি রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে একমাত্র বঙ্গবন্ধুকে তাদের সাথে তুলনা করা চলে। কারণ বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে একমাত্র বঙ্গবন্ধু ছিলেন সেই নেতা, যিনি বাঙালি জাতির স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে সাম্যের সমাজ ব্যবস্থা, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র কাঠামো বিনির্মাণের জন্য আমৃত্যু লড়াই করে গেছেন।
পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ ছিল বাংলা নামক ভূ-খ-টি কত হাজার বছর তার সঠিক ইতিহাস কেউ বলতে পারবে না। আর্য থেকে শুরু করে ইংরেজ, পাকিস্তানিরা পর্যন্ত এ ভূ-খ-কে শাসন করে গেছে। হাজার হাজার বছর ধরে পরাধীন বাংলা মুক্ত স্বাধীন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। দেশের কিছু তাত্বিক প-িত ব্যক্তি আছেন, যাদের আলোচনা শুনলে বিস্মিত হতে হয়। তারা কতিপয় বাঙালি নেতার নাম বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে মূখ্য করে তুলেন তাদের আলোচনায়। তবে কেউ বঙ্গবন্ধুকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারেন না কিন্তু বঙ্গবন্ধুর অমর কীর্তিকে ধামা চাপা দেয়ার কিছু অপচেষ্টা তারা চালান। বাঙালিরা যুগ যুগ ধরে নিজেদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে গেছেন। বাঙালির লড়াই সংগ্রামের প্রয়োজন তার সঠিক দিক নির্দেশনা ্ওই সময় কোনো নেতাই দিতে পারেনিÑ যা পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই তিনি জাতির পিতা।
১৯৪০ সাল সমগ্র উপমহাদেশ ছিল বৃটিশ শাসনাধীন। বৃটিশ শাসন থেকে মুক্তির লক্ষে লাহোরে ওই বছর একটি রাজনৈতিক অধিবেশন হয়েছিল। ওই অধিবেশনে একজন বাঙালি স্বাধীনতার লক্ষে একটি প্রস্তাব পাঠ করেছিলেন। তারপর ১৯৬৬ সালে ওই লাহোরেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা পেশ করেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে তৎকালীন পাকিস্তানের সকল রাজনৈতিক দল সমূহের একটি কনভেনশনে তাঁর ছয় দফা উপস্থাপন করেন। দুটো প্রস্তাবই লাহোরে উপস্থাপিত দুই বাঙালির নেতৃত্বে। একজন বাঙালি লাহোরে ১৯৪০ সালে প্রস্তাব উপস্থাপন করে জিন্নাহ কর্তৃক শেরে-ই- বাংলা উপাধি পান । অপর দিকে লাহোরে ছয় দফা পেশ করার কারণে পাক জান্তা বঙ্গবন্ধুর হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে কারাগারে পাঠায়। ১৯৪০ সালের প্রস্তাবটির মূলমন্ত্র ছিল দ্বিজাতিত্বত্ত্বের ভিত্তিতে উপমহাদেশ ভাগ করা, যার সুফল উর্দু ভাষাভাষিরা ভোগ করছিল। অপরদিকে বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত ছয় দফায় ছিল বাঙালির স্বায়ত্তশাসন, গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক মুক্তির নির্দেশনা। তাছাড়া বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার মূল লক্ষ ছিল স্বাধীনতার একটি দিক নির্দেশনা। এখন যদি কেউ বঙ্গবন্ধুর সাথে ওই নেতার তুলনা করেন তাহলে কী দাঁড়ায়? ওই নেতা যে মুক্তি চেয়েছিলেন তাতে বাঙালির লাভ হতো কতখানি যদিও তিনিছিলেন একজন বাঙালি কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা ছিল বাঙালি জাতির স্বাধীনতার মূল মন্ত্র। তিনি নিজের সকল আরাম আয়েশ, যশ-খ্যাতি বিসর্জন দিয়ে ছিলেন এদেশের স্বাধীনতার জন্য। এদেশে আরো কিছু তাত্ত্বিক আছের যারা একজন বাঙালি নেতাকে মজলুম হিসাবে আখ্যা দেন। তাদের দৃষ্টিতে তিনি একমাত্র বাঙালি নেতা যিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। কিন্তু তার পিকিংপন্থী রাজনীতির ধারায় প্রশ্ন জাগে মহান মুক্তিযুদ্ধে তার দলের লোকেরা কতটুকু স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেছিল। ১৯৫৭ সালে কাগমারী সম্মেলনে তিনি নাকি পাকিস্তানকে ‘ওয়ালাইকুম সালাম’ বলে বিদায় দিয়ে ছিলেন। ১৯৫৭ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনের কতটা জনমত সৃষ্টি করতে পেরেছিল? এই বাস্তবতায় ওয়ালাইকুম সালাম বলাটা কি যুক্তি সংগত নাকি এটাও অনেকটা স্টান্ডবাজি রাজনীতির মতো। অলীক বা অবাস্তবতায় মুক্তির সংগ্রাম গড়ে উঠে না। মুক্তির সংগ্রাম গড়তে হলে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হয়। আর একমাত্র বঙ্গবন্ধুই পেরেছিলেন বাঙালিদের মুক্তির লক্ষে একটি প্লাটফরমে একত্রিত করার। বৃটিশ শাসনামলে বা পকিস্তানের সময় বাঙালিদের বিভিন্ন আন্দোলনের সঠিক রূপরেখা না থাকায় আন্দোলন বেশি দূর এগুতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু তাঁর ঐতিহাসিক ছয়দফা ঘোষণার মাধ্যমে সমগ্র জাতিকে একটি ছাতার নীচে আনতে পেরেছিলেন। এটাই ছিল তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং জনমনের চাহিদা বুঝার সক্ষমতা। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের চাহিদা ভিত্তিক রাজনৈতিক কর্মসূচি নিতে বঙ্গবন্ধু আর এ দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক কর্মসূচি বুঝতে পারতো। তাই দেখা যেতো, যে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করলে মানুষ তাতে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। ১৯৭১ সালে নিরস্ত্র বাঙালি বঙ্গবন্ধুর ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। লক্ষ প্রাণের বিনিয়ে বাঙালিরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সংগ্রামের বিষয়গুলি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, জনগণের আর্থ-সামাজিক মুক্তি এবং এ অঞ্চলের স্বাধীনতার জন্য তিনি লড়াই সংগ্রাম করেছেন। এ লড়াই সংগ্রাম শুধু ভোট দিয়ে সরকার পরির্বতনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকুক তার জন্য নয়। তাঁর লড়াই ছিল শোষণহীন সমাজ কায়েম করে অসমতা দূর করা, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলা। স্বাধীনতার পর এদেশের মানুষের কল্যাণে কিছু কর্মসূচি হাতে নেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের বঙ্গবন্ধুর কর্মসূচিগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তিনি শোষণহীন সাম্যের বাংলাদেশ গড়ার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। তিনি এদেশের শোষিত মানুষের পক্ষে কাজ করতেন। প্রশাসনসহ রাষ্ট্রের সকল স্তরে যেন শ্রমজীবী মানুষের কর্তৃত্ব থাকে সেই লক্ষে বঙ্গবন্ধুর সরকার কিছু পদক্ষেপ নেন। ১৯৭২ সালের ৯ মে রাজশাহী শহরের এক জনসভায় বঙ্গবন্ধু ভাষন দেন। ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন, সমাজতন্ত্র ছাড়া এদেশের মানুষ বাঁচতে পারবে না। সেই সমাজতন্ত্র কায়েম করার প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছি। আপনার নিশ্চয়ই জানেন, বড় বড় ব্যাংক ছিল, ভুড়িওয়ালাদের ব্যাংক। আল্লাহর মর্জি এই ব্যাংকগুলো এখন সাড়ে সাত কোটি মানুষের ব্যাংক। বিমা কোম্পানিগুলি আর ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়- সাড়ে সাত কোটি মানুষের সম্পত্তি। এই আইন আমি পাস করিয়ে দিয়েছি। বড় বড় চটকল, বড় বড় কাপড়ের কল আমি জাতীয়করণ করে সাড়ে সাত কোটি মানুষের সম্পত্তিতে পরিণত করে দিয়েছি। আপনারা এর সুফল ভোগ করতে হলে একটু সময় লাগবে। কিন্তু এ সম্পত্তি এখন ২/৫ জনের নয়। এই সম্পত্তি এখন আমার বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের সম্পত্তি। কোনো লোক একশ বিঘার উপর জমি রাখতে পারবে না। এতে যে জমি উদ্ধৃত্ত হবে তা ভুমিহীনদের মাঝে বিলিয়ে দেয়া হবে। খাস জমি গরিবকে ছাড়া কাউকে দেয়া হবে না।
তিনি সম্পদের সাম্যতা আনার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। সম্পদ বা সম্পত্তি ছাড়া মানুষের মুক্তি মেলে না। ১৯৭৩ সালের ৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ২য় কংগ্রেসে বঙ্গবন্ধু তার উন্মুক্ত বক্তৃতায় বলেছিলেন, আমরা শাসনতন্ত্র দিয়েছি। এর মধ্যে কোন ঘোরানো ফেরানো কথার সুযোগ নেই। শাসনতন্ত্রের চারটি নীতিকে মেনে নিয়েছি- জাতীয়তাবাদ, গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্ম নিরপেক্ষতা। শোষকের পক্ষে যারা থাকে তারা কে, তারা কারা তা দুনিয়ার মানুষ জানে। সমাজতন্ত্র আমাদের প্রয়োজন। সমাজতন্ত্র না হলে এ দেশের দুঃখী মানুষকে বাঁচানোর উপায় নাই। আমরা শোষণহীন সমাজতন্ত্র চাই। সমাজতন্ত্রের রাস্তা সোজা নয়। বঙ্গবন্ধুর সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল এদেশের সাধারণ মানুষের মুক্তি সাম্য এবং ন্যায়ের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। দুনিয়া জুড়ে শোষিতের পক্ষে তাঁর কণ্ঠ ছিল সোচ্চার।
পৃথিবীর নানা পরিবর্তনে দেশে দেশে গণতন্ত্র আসলেও দরিদ্র মানুষ শাসনযন্ত্রে অংশ নিতে পারছে না। বিশ্বের নিপীড়িত দরিদ্র মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলা ভাষায় তার যুগান্তকারী ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই ভাষণে তিনি বলেছিলেন “পৃথিবী আজ দুই ভাগে বিভক্ত, একটি শোষকের অন্যটি শোষিতের , আমি শোষিতের পক্ষে”। বঙ্গবন্ধু শুধুমাত্র বাংলাদেশের শোষিতের অধিকারের জন্য লড়াই করেন নাই তিনি সমগ্র বিশ্বের দরিদ্র মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ও অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষে লড়াই সংগ্রাম করে গেছেন।
বঙ্গবন্ধু যে রাষ্ট্রীয় নীতি প্রণয়ন করেছিলেন তার মধ্য দিয়ে দারিদ্র বিমোচিত হয়ে ক্ষুধামুক্ত সোনার বাংলা গড়ে উঠতো। পৃথিবীর ভোগবাদী সমাজের পুঁজিপতিরা, সা¤্রাজ্যবাদী গোষ্ঠি এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীরা সেই সাথে আন্তর্জাতিক মৌলবাদীচক্র বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এই ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে যোগ দেয় কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য। সা¤্রাজ্যবাদী ও স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের সহযোগিতায় বিপথগামী সেনা সদস্যদরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ১৯৭৫ সালে এক ব্যক্তি মুজিবের মৃত্যু হয়নি সেদিন মৃত্যু ঘটেছিল একটি আদর্শের, যে আর্দশটি সারা দুনিয়ার মানুষের মুক্তির জন্য লড়াই করে গেছে আর ওই আর্দশের উপর ভিত্তি করে অসাম্প্রদায়িক শোষণমুক্ত সাম্যের দুনিয়া গড়ে ওঠা সম্ভব ছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতিতে চলে স্বৈরতন্ত্রের এক ভয়ংকর খেলা। বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর সা¤্রাজ্যবাদীদের দোসর এবং দেশের প্রথম সেনা সামরিক শাসক মে.জে জিয়া ক্ষমতায় বসেন। মে. জে. জিয়া পঞ্চম সংশোধনী এনে মুক্তির সংগ্রামের আদর্শের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিবর্তন করেন। তখন থেকে রাষ্ট্রযন্ত্রে জগদ্দল পাথরের ন্যায় জেঁকে বসে সামরিক এবং বেসামরিক আমলা, পুঁজিপতি এবং মৌলবাদীরা।
জাতির জনকের মৃত্যুর ৪২ বছর অতিক্রান্ত হতে চলল। দেশ ও জাতি আজও স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ রাষ্ট্রের শাসনতন্ত্রে প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে শোষণহীন সাম্যের বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়।
লেখক:- কলামিস্ট