মানুষের পর পৃথিবীতে কারা রাজত্ব করবে, কোন বিশেষ ক্ষমতা থাকবে তাদের

আপডেট: জানুয়ারি ৮, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ


সোনার দেশ ডেস্ক :


কথায় আছে যাদের সংখ্যা বেশি তারাই রাজত্ব করে থাকে। তবে এই কথা অনেকসময় খাটে না। দেখা যায় অনেক শক্তিশালী প্রাণী থাকে যারা সংখ্যার কম থাকলেও তারাই রাজত্ব করে থাকে। এটা নির্ভর করে সেই প্রাণীর বুদ্ধির উপর। বহু বিজ্ঞানী নানাভাবে ব্যাখা করেছেন পৃথিবীতে ভবিষ্যতে কারা রাজত্ব করবে।

পৃথিবীর ইতিহাস বলে দিয়েছে কোনও প্রজাতি এখানে থাকতে পারে না। সংখ্যায় বেশি হলেও তাদের ধ্বংস অনিবার্য।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর টিম কলিউশান একটি ব্যাখা দিয়েছেন। তার মনে সমস্ত প্রজাতি থেকে সবথেকে উন্নত বলেই মানুষ পৃথিবীতে এত বছর ধরে রাজত্ব করে এসেছে।

তার উন্নত চিন্তা, বুদ্ধি, কাজ করার ক্ষমতা তাকে সকলের থেকে আলাদা করেছে। অন্য ভয়ঙ্কর প্রাণীকেও সে নিজের বশ করেছে। তাই পৃথিবীর সমস্ত জীবজগতের কেন্দ্রে সে অবস্থান করছে।

তার মতে পৃথিবীতে যতবার বিবর্তন ঘটেছে তারপরই সেখানে নতুন প্রাণীর আবির্ভাব ঘটেছে। এবারেও তার ব্যতিক্রম হবে না। এই প্রফেসরের মতে, পৃথিবীর বুকে এমন এক প্রাণীর জন্ম হবে যে জলে ও স্থলে সমানভাবে বিচরণ করতে পারে। সেই তালিকায় কুমির থাকলেও তাকেও হার মানাবে এই নতুন জীব।

পৃথিবীর ইকোসিস্টেম যেভাবে তৈরি হবে সেভাবে সে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবে। ফলে সব ধরনের আক্রমণ থেকে নিজেকে সে বাঁচাতে সক্ষম হবে। এর জন্ম হবে বুদ্ধি দিয়ে। পৃথিবীতে নিজেকে বাঁচাতে এবং লড়াই করতে এই প্রাণী সক্ষম হবে। এমনকি দ্রুত বংশবিস্তার করতেও সে হবে অতি পটু। ফলে তার বিনাশ প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে।

এখানে তিনি অক্টোপাসের উদাহরণ দিয়েছেন। তার মতে যেভাবে অক্টোপাস জলের মধ্যে থাকা একটি বুদ্ধিমান প্রাণী যে যেকোনও সময়ে নিজের রং পরিবর্তন করতে পারে ঠিক তেমনই গুন থাকবে নতুন এই প্রজাতির মধ্যে। নিজেকে বাঁচানোর সব কৌশল সে জানবে, ঠিক তেমনই ভাবে জানবে আক্রমণের নিত্যনতুন আবিষ্কার।

পৃথিবী চলে যাবে জলের তলায়। তখন সূর্যের দেখা মিলবে নাকি হারিয়ে যাবে তা নিয়ে কোনও নিশ্চিত বার্তা নেই। তবে জলের তলায় তৈরি হবে নতুন এই প্রজাতি। যারা জলকেই তাদের পরবর্তী ঘর হিসাবে তৈরি করবে। মানুষের দ্বারা যেসব প্রাণীরা বেঁচে রয়েছে তারা সকলেই তখন মৃত্যুর মুখে পড়বে। তৈরি হবে নতুন প্রজাতির ইতিহাস।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ