মান্দায় এক রাতে বিদ্যুতের ১০মিটার চুরি

আপডেট: জুলাই ৭, ২০২৪, ১১:২৪ অপরাহ্ণ

মান্দা প্রতিনিধি:


নওগাঁর মান্দায় এক রাতে বিদ্যুতের ১০মিটার চুরি করে নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ চোরেরদল। শনিবার (৬ জুলাই) রাতে উপজেলার সদর ও কুসুম্বা ইউনিয়নের শামুকখোল গ্রামে চুরির এসব ঘটনা ঘটে।

চোরেরদল মিটারের স্থানে মোবাইলফোনের নম্বরসহ একটি চিরকুট রেখে গেছে। তাতে লেখা রয়েছে উল্লেখিত নম্বরে ৫হাজার টাকা বিকাশ করা হলে চুরি যাওয়া মিটারটি ফেরত দেওয়া হবে। চোরদের এমন কান্ডে এলাকাবাসির মাঝে মিটার চুরি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
উপজেলার শামুকখোল গ্রামের বাসিন্দা মিলন চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, ‘বুড়িদহ বাজারে আমার বিদ্যুৎ চালিত রাইস মিল আছে। শনিবার সন্ধ্যার পর ঘরটি তালাবদ্ধ করে বাড়ি চলে যাই। আজ রোববার সকালে এসে দেখি বিদ্যুতের মিটারটি নেই।’

মিলন প্রামানিক আরও বলেন, মিটারের স্থানে একটি চিরকুট পাওয়া যায়। তাতে লেখা মোবাইল নম্বরে ৫হাজার টাকা দিলে মিটারটি ফেরত দেওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হক টুটুল বলেন, শনিবার রাত ১২টার দিকে হাসপাতাল মোড় এলাকার অদুরে কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ চলে যায়। প্রথমদিকে লোডশেডিং হতে পারে বলে ধারণা করেছিলাম। কিন্তু রোববার দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুৎ না আসার কারণ অনুসন্ধানে দেখা যায় ওই ভবনে বিদ্যুতের মিটারটি নেই। সেখানে সিগারেটের খালি প্যাকেটের ভেতরে একটি চিরকুটে মোবাইল নম্বর লেখা ছিল। ওই নম্বর যোগাযোগ করা হলে মিটারটি পেতে ১০ হাজার টাকা দাবি করা হয়।

বিদ্যুতের মিটার চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মান্দা জোনাল অফিসের সহকারী মহাব্যবস্থাপক শামীম পারভেজ বলেন, শনিবার রাতে কয়েকটি এলাকা থেকে বিদ্যুতের ১০টি মিটার চুরি গেছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
ডিজিএম শামীম পারভেজ আরও বলেন, এর আগেও একইভাবে মিটার চুরি যায়। বিষয়টি নিয়ে আইন শৃঙ্খলা সভায় আলোচনা হয়েছে। থানা পুলিশকেও বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল। এরপরও মিটার চুরি বন্ধ হয়নি।

এ প্রসঙ্গে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে পুলিশ। খুব শিগগিরই সংঘবদ্ধ চোরচক্রকে আইনের আওতায় আনা হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ