শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
মান্দা প্রতিনিধি
নওগাঁর মান্দা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাভূক্ত কশব ইউনিয়নের বনকুড়া গ্রামে স্টেকিংসিট (বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের জন্য অনুমোদিত নকসা) বহির্ভূত একটি খুঁটি স্থাপনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রকৌশল দফতর। অভিযোগ উঠেছে মোটা অঙ্কের বিনিময়ে স্টেকিংসিট মাপের তোয়াক্কা না করে আওতাভূক্ত এলাকার বাইরে খুঁটিটি স্থাপন করিয়ে নিয়েছে ঠিকাদার মামুন।
সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বনকুড়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের পাড়ায় ৫ খুঁটিতে ৩০ পরিবার ও মজিবর মাস্টারের পাড়ায় ৭ খুঁটিতে আরো ২১ পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার জন্য স্টেকিংসিট প্রস্তুত হয়। কাজটি শুরু করেন মামুন নামে এক ঠিকাদার। তিনি মজিবর মাস্টারের পাড়ায় ৭ খুঁটির পরিবর্তে ৬ খুঁটি ব্যবহার ও বিদ্যুতের তার টেনে কাজটি সমাপ্ত করেন।
নকসার নির্দ্দিষ্ট মাপে পরিবর্তন এনে ৭০ মিটারের স্থলে ৮০ মিটার কোথাও আবার ৬০ মিটারের স্থলে ৯০ মিটার দুরত্বে খুঁটিগুলো স্থাপন করিয়ে নেন ঠিকাদার মামুন। এভাবে তিনি মাপে কারসাজি করে বরাদ্দকৃত ৭টি খুঁটি থেকে একটি খুঁটি বাঁচিয়ে স্টেকিংসিটের বাইরে পাশের সরদার পাড়ায় সেটি স্থাপন করেন। পরে ওই খুঁটিতে তার টেনে সংযোগ দেয়া হয়।
কাজের দায়িত্বে থাকা ফোরম্যান সেলিমের সহযোগী মনির হোসেন জানান, ঠিকাদারের নির্দেশে স্টেকিংসিট না মেনে খুঁটিগুলো ওইভাবে স্থাপন করা হয়েছে। ঠিকাদার মামুন জানান, কাজ করার সুবিধার্থে নকশা মাপের পরিবর্তন করা হয়েছে।
নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিজ্জুল ইসলাম জানান, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ঠিকাদারসহ সংশ্লিস্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি তদন্তের জন্য সহকারী প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সহকারী প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলাম জানান, তদন্তে নকসা পরিবর্তনের সত্যতা পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে কাজের দায়িত্বে থাকা ফোরম্যান সেলিমকে পল্লী বিদ্যুতের সকল কাজ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অবৈধভাবে স্থাপনকৃত খুঁটিটি সরিয়ে নেয়ার জন্য ঠিকাদার মামুনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।