মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :মালদ্বীপে চলা রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যেই আরো জটিলতা বাড়লো। মালদ্বীপের প্রসিকিউটর জেনারেলকে প্রকাশ্য দিবালোকে একের পর এক ছুরিকাঘাত করে পালালো অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীতারীরা। মালদ্বীপের ওই শীর্ষ আইনজীবীর নাম হুসেন শামিম। সোমবার তাঁকে রাস্তার ওপরেই ছুরি মেরে পালায় এক দল আততায়ী।
দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি মালদ্বীপের পার্লামেন্টের বেশ কয়েক জন সদস্যের ওপর হামলা চালায় ওই দেশের একটি ‘গ্যাং’। তখনই ছুরি নিয়ে শামিমের ওপর হামলা চালানো হয় বলে খবর।
উল্লেখ্য, রোববারই মালদ্বীপের পার্লামেন্টে হাতাহাতিতে জড়ায় দেশটির বর্তমান শাসক জোটের দুই দল পিএনসি, পিপিএম এবং মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ সোলির দল এমডিপি-র সদস্যেরা। মুইজ্জুর মন্ত্রিসভায় সদস্য নিয়োগের জন্য পার্লামেন্টের অনুমোদন আদায় করতে ওই দিন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রিসভার ৪ সদস্যকে নিয়োগ করার ব্যাপারে আপত্তি জানায় এমডিপি। অভিযোগ, মুইজ্জুর দলের সদস্যরা সোলির দলের এমপিদের পার্লামেন্টে ঢুকতেও বাধা দেয়। এর পরে পার্লামেন্টের ভিতরেই হাতাহাতি শুরু করেন শাসক এবং বিরোধী দলের সদস্যরা। এর এক দিন পরেই হামলা চললো সে দেশের প্রসিকিউটর জেনারেলের ওপর।
ক্ষমতায় থাকার সময় শামিমকে প্রসিকিউটর জেনারেল হিসাবে নিয়োগ করেছিল সোলির সরকার। তবে গত বছরের নভেম্বরের পর মালদ্বীপের সরকার বদলেছে। সোলিকে ক্ষমতাচ্যূত করে জোটের সরকার গড়েছেন মুইজ্জু। অন্যদিকে, বর্তমানে এমডিপি সে দেশের প্রধান বিরোধী দল। প্রসঙ্গত, মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতলেও মালদ্বীপের পার্লামেন্টে এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠ দল সোলির এমডিপি।
বর্তমানে মালদ্বীপে শাসকজোট এবং বিরোধী দলগুলির মধ্যে ক্রমাগত টানাপড়েন চলছে। প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রচুর স্বাক্ষরও সংগ্রহ করে ফেলেছে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সোলির দল। খুব শিগগিরই মালদ্বীপের ‘চিনপন্থী’ প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর বিরুদ্ধে সে দেশের পার্লামেন্টে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব পেশ করা হতে পারে বলে সূত্র জানায়। তবে এই পরিস্থিতিতে মুইজ্জুর পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছে শাসকজোটের দুই শরিকদল। এই দুই দলের মধ্যে মুইজ্জুর নিজের দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি)-ও রয়েছে।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন