বদলগাছীতে চেয়ারম্যান মাসুদ রানার উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

আপডেট: এপ্রিল ৭, ২০২৪, ৮:৩৬ অপরাহ্ণ


বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি:নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নে ইদ উপলক্ষে বরাদ্ধকৃত ভিজিএফ চাল ও কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে প্রবেশ করে মাসুদ রানার উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এলাকার সর্বোস্তরের জনগনের আয়োজনে মানববন্ধন ব্যানারে উল্লেখ করা হয় চেয়ারম্যান মাসুদ রানা ও পরিষদের সহকারী সচিব আরিফুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা করা হয় এবং পরিষদের আসবাবপত্র, সিসি টিভি ক্যামেরা ভাংচুর করা হয়।

লক্ষাধিক টাকা, মোবাইল ফোন কেরে নেওয়া হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন কাকু বাহিনী দ্বারা চেয়ারম্যান মাসুদ রানা সন্ত্রাসী হামলার শিকার হলেও ঘটনায় ৬ দিন অতিবাহিত হয়েছে। এক অদৃশ্য শক্তির কারনে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়নি।

থানায় মামলা রেকর্ড ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারসহ ন্যয় বিচারের দাবীতে রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পাকা রাস্তার উপরে কাকু বাহিনীর বিরুদ্ধে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে মথুরাপুর ইউনিয়নের সর্বস্থরের জনসাধারণ।

মথুরাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস এর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন মথুরাপুর ইউপির চেয়ারম্যান মাসুদ রানা, ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান পরিমল চন্দ্র, ইউপি সদস্য আহসান হাবিব লিটন, শফিকুল ইসলাম বাবু ও ছাত্রলীগের ইউনিয়ন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন প্রমূখ।

উক্ত মনব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা আরো বলেন, পবিত্র ইদ-উল ফিতর উপলক্ষে অসহায় ও দুস্তদের জন্য মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর উপহার স্বরুপ ১০ কেজি করে ভিজিএফ চাল ২০৪৭ জনের বরাদ্ধ আসে। উক্ত বরাদ্ধকৃত চাল বিতরণের প্রস্তুতি জন্য গত ১ এপ্রিল সকাল ১১ টার সময় চেয়ারম্যান মাসুদ রানা সকল সদস্য ও সদস্যাদের নিয়ে পরিষদ কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন।

বৈঠকে ওই পষিদের একজন সদস্য আনিছুর রহমান এমপির প্রতিনিধি হিসেবে দলীয় ৪০ ভাগ কার্ডের চাল দাবী করেন। চেয়ারম্যান ও উপস্থিত অন্য সদস্যরা বিষয়টি আমলে নিয়ে ৪০ ভাগ কার্ড প্রাপ্ত প্রত্যক ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র সহ একটি তালিকা পরিষদে জমা দিতে বলেন। কিন্তু ইউপি সদস্য ও এমপি প্রতিনিধি দাবীকারী আনিছুর রহমান তা মেনে না নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বৈঠক ত্যাগ করে চলে যান।

পরের দিন ২ এপ্রিল দুপুর ১২ টায় চেয়ারম্যান মাসুদ রানা পরিষদে বসে গ্রাম আদালত পরিচালনা করছিলেন। এমন সময় হঠাৎ করে আনিছুর মেম্বারের নেতৃত্বে কাকু বাহিনী পলাশ, অসীমস ৫০/৬০ জন সন্ত্রাসী পরিষদের মধ্যে প্রবেশ করে এলোপাতারি ভাবে হিসাব সহকারী আরিফুল ইসলামকে ও পরে চেয়ারম্যান মাসুদ রানাকে কিলঘুশি ও মারপিট করে আহত করেন। এবং নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ওই দিন বিকেলে চেয়াম্যান মাসুদ রানা ১৫ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক ও আজ্ঞাত ৩০/৪০ জন কে আসামী করে থানায় এজাহার দাখিল করেন। এজাহার দাখিলের ৬ দিন অতিবাহিত হলে ও থানায় মামলাটি রেকর্ড না হওয়া ও কাকু বাহিনীর অব্যাহত হুমকির মুখে চেয়ারম্যান মাসুদ রানা চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছেন বলে মানববন্ধন ও প্রতিপাদ সভায় তিনি জানান। এই ঘটনা ন্যায় বিচার পেতে স্থানীয় সংসদ সদস্য সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী ও দেশ নেত্রী মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

উক্ত প্রতিবাদ সভায় অত্র ইউনিয়নের হাজার হাজার নারী পুরুষ দেন। কেন মামলা নেওয়া হচ্ছে না জানতে চাইলে বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ মো, মাহবুবুর রহমান বলেন দুপক্ষে দুটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।