মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছেন। এই সম্মান প্রদানের মাধ্যমে জাতিই সম্মানিত হয়েছে। এই সম্মান অক্ষুণœ রাখতে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে হবে। প্রত্যেককে প্রত্যেকের জায়গায় থেকে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে তা বাস্তবায়িত হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এ সংবর্ধনার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। এতে রাজশাহী জেলা ও মহানগর শাখার পাঁচ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
বক্তারা বলেন, পাকিস্তানি অপশক্তি এদেশকে নিয়ে আবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা বিভিন্নভাবে এদেশের শান্তিকামী মানুষদের ওপর হামলা করে দেশকে অস্থিতিশীল করছে। এদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে। এখন সময় এসেছে পাকিস্তানি অপশক্তিকে যারা লালনপালন করে তাদেরও বিচারের আওতায় আনার।
তবে মুক্তিযোদ্ধারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ৫ শতাংশ নাতি-নাতনিদের কোটা উঠিয়ে দেয়ার তীব্র প্রতিবাদ করেন। তারা অবিলম্বে এই কোটা ব্যবস্থা চালু করার আহ্বান জানান।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দীনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, রাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ বেগম আখতার জাহান, সাবেক মেয়র মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক অ্যাডভোকেট আব্দুল হাদী, সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী, বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল হান্নান, রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি এম খুরশিদ হোসেন, নগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার মোয়াজ্জেম হোসেন ভুঁইঞা, নগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ইউনিট কমান্ডার ডা. আব্দুল মান্নান ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা ইউনিট কমান্ডার ফরহাদ আলী মিয়া।
এর আগে ট্রাকে করে মুক্তিযোদ্ধারা নগরীর ভদ্রা স্মৃতি অম্লান থেকে বিজয় শোভাযাত্রা বের করেন। নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শোভাযাত্রাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে গিয়ে শেষ হয়।