মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল হলো

আপডেট: জুন ৮, ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ণ

মুক্তিযোদ্ধার সাথে অন্য কিছুরই তুলনা হয় না


সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন দেশের উচ্চ আদালত। ৫ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন। যদিও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান জামান এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর এ পরিপত্র জারি করা হয়েছিল।

উচ্চ আদালতের এ রায় ঘোষণার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যন্য স্থানে কতিপয় শিক্ষার্থী রায়ের বিরোধিতা করা শুরু করেছে। কিন্তু আদালতের রায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো কিংবা দেশের সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে কোনো ধরনের মন্তব্য করা হয় নি। কেননা বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করার কোনো সুযোগ নেই। যারা এই সুযোগ নিতে চায় তারা কোনো উদ্দেশ্য নিয়েই বিরোধিতা করতে চায়। কেননা মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল হওয়ার পর থেকে দেশের মুক্তিযোদ্ধারা সরকারের ওই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি করে আসছিলেন; যদিও সরকার বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। দেশের উচ্চ আদালতই বিষয়টির সমাধান করে দিলেন।

যারা মেধার বড়াই করছেন তারা কি মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাদের হেয় করছেন না? মুক্তিযোদ্ধারা, তাদের উত্তারাধিকারগণ রাষ্ট্রের সকল সুযোগ-সুবিধা পেতে থাকবে। জীবনবাজি রেখে, আত্মত্যাগে মহিয়ান হয়ে যারা দেশকে স্বাধীন করেছেন তাদের মেধাকে অন্য কিছু দিয়ে পরিমাপ করা কোনোভাবেই বাঞ্ছনীয় নয়। দেশ স্বাধীন না হলে বাঙালি জাতি আজো দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হয়ে থাকতো। এই সত্যটা না বোঝার কোনো কারণ নেই। যারা এ নিয়ে জলঘোলা করতে চায় তাদের অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে যা দেশের মানুষের স্বার্থের পরিপন্থি তা বলাই বাহুল্য। বরং মুক্তিযোদ্ধারা চির সম্মান ও মর্যাদার অধিকারি। তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও সেই সম্মানেরই পরম্পরা। কেননা এদেশে মর্যাদার উচ্চতায় আছেন অনেকেই, ভবিষ্যতেও থাকবেন কিন্তু আর কখনোই মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার মতো গৌরব আর কেউ অর্জন করতে পারবে না।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ