শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
নাটোর অফিস
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় দাফনে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা না পেলেও মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে পেয়েছেন বিজয় দিবসের আমন্ত্রণপত্র। হতভাগা ওই ব্যক্তির নাম আমিন উদ্দিন মন্ডল। ৭৪ বছর বয়সে গত ৭ ডিসেম্বর মারা গেছেন। ১৯৭১ সালে আনছার বাহিনীর সদস্য হিসেবে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে নিজ এলাকায় যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। দীর্ঘদিন যাবত মুক্তিযোদ্ধা ভাতাও পেয়েছেন। কিন্তু শেষ শ্রদ্ধাটুকু তিনি পাননি। এমনই অভিযোগ করছেন আমিন উদ্দিনের ছেলে সাহিন আলম সেন্টু।
আমিন উদ্দিনের বাড়ি উপজেলার মুরাদপুর মহল্লায়। তিনি রোববার সকালে বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিতভাবে এ সব অভিযোগ করেন। তিনি জানান, তার পিতা আমিন উদ্দিন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ১৯৭১ সালে নাটোরের কানাইখালী মাঠে আনছার প্রশিক্ষকের কাছে গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়ে পাশ্ববর্তী লালপুরের মইনি এলাকায় যুদ্ধে অংশ নেন। তার প্রাক্তন রেজিস্ট্রার্ড নম্বর- ৪৩ এবং মুক্তি বার্তা নম্বর- ০৩০৪০৩০০৬৫, যা ১৬৬ পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ আছে। কেন্দ্রীয় কাউন্সিল কর্তৃক খসড়া তালিকায় ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে তার নাম তালিকাভুক্ত রয়েছে। তিনি শুরু থেকে মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতা পেতেন।
২০১৫ সালের ৬ জুলাই মন্ত্রণালয়ে এক অভিযোগ আছে এমন কারণ দেখিয়ে তার ভাতা বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে কি অভিযোগ তার বিরুদ্ধে তা স্পষ্ট করে জানায় নি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড। দীর্ঘদিন অসুস্থাবস্থায় থাকার পর গত ৭ ডিসেম্বর নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি। তার স্বজনদের আক্ষেপ, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও শেষ শ্রদ্ধা হিসেবে দাফনে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পাননি। তবে তিনি সকলের কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, তবে কেন বীরমুক্তিযোদ্ধা সম্বোধন করে বিজয় দিবসের আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হলো।
এ ব্যাপারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড রশীদুন্নবী বেফিন বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় তার ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। একই কারণে তার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা যায়নি। তবে পূর্ব তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার নাম অন্তুর্ভূক্ত ছিলো বলে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে।