নিজস্ব প্রতিবেদক:এপ্রিলের শুরুটা হয়েছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দিয়ে। এপ্রিলের দ্বিতীয় দিনেও যেন ঝরছে আগুন। অন্য বছর আবহাওয়ার কিছুটা তারতম্য লক্ষ্য করা গেলেও মৃদ্যু তাপ প্রবাহে পুড়ছে পদ্মাপাড়ের রাজশাহী শহর। গরম বাতাস যেন শরীরে বিঁধছে আগুনের লেলিহান শিখার মত।
তাপপ্রবাহ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাজশাহীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সর্বোচ্চ ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন সোমবারও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সাধারণত দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়। এছাড়া ৪০ হতে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রাকে তীব্র তাপ-প্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর উঠলেই তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
বিশেষ করে রমজানের রোজাদারদের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছে। তাপপ্রবাহের কারণে মঙ্গলবার দুপুরের পর প্রধান প্রধান সড়ক ফাঁকা হয়ে যায়। অনেক মানুষকে ক্লান্ত শরীরে গাছের ছায়ায় বসে থাকতে দেখা যায়। অনেকে আবার চোখে-মুখে ঠাণ্ডা পানি দিতে দেখা যায়। তবে রিকশা চালকদের তীব্র-রোদ উপেক্ষা করেই রিকশা চালাতে দেখা যায়। এছাড়া তাপ-প্রবাহের কবলে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খায়া অন্য পেশার মানুষেরাও।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম জানান, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এর আগেরও দিনেও একই তাপমাত্রা ছিল। এর আগে রোববার (৩১ মার্চ) সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, রাজশাহীতে সর্বশেষ শনিবার দিনগত রাতে ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তখন তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রিতে নেমে এসেছিল। এরপর থেকে হঠাৎ করেই তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। মঙ্গলবার ভোর ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ। আর সন্ধ্যা ৬টায় ৪৮ শতাংশ। এর ফলে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে।
তিনি বলেন, গেল দুদিন থেকে রাজশাহীতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। বর্তমানে রাজশাহীর ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা কয়েকদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।