মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
লিওনেল মেসি এবং আর্জেন্টিনার মান বাঁচালেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। টাইব্রেকারে জোড়া সেভ করে দলকে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে তুললেন ডিবু। শুক্রবার (৫ জুলাই) ভারতীয় সময় সকালে পেনাল্টি শুটআউটে ইকুয়েডরকে ৪-২ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা।
নির্ধারিত সময় খেলা ১-১ গোলে শেষ হয়। কোপাতে কোনও এক্সট্রা টাইম নেই। সরাসরি টাইব্রেকার। দীর্ঘদিন পর পেনাল্টি মিস মেসির। কিন্তু ডিবুর গ্লাভস আর্জেন্টিনার পরিত্রাতা। বিশ্বকাপের পর আরও একবার গোলের নীচে দুর্দান্ত এমি।
তাঁর জোড়া সেভ দলকে সেমিফাইনালে পৌঁছে দেয়। তবে টুর্নামেন্ট আলাদা হলেও আশ্চর্যজনকভাবে আধুনিক ফুটবলের দুই কিংবদন্তির ভাগ্যের পরিহাস একই দিকে এগোচ্ছিল। কয়েকদিন আগে ইউরো কাপে পেনাল্টি মিস করেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।
যার ফলে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে বসেছিল পর্তুগাল। দিয়েগো কোস্টার তিনটে পেনাল্টি সেভ দলকে শেষ আটে পৌঁছে দেয়। কোপা আমেরিকাতে আরেক মহাতারকার ভাগ্য লিখনও ঠিক এমনই। টাইব্রেকারে মেসির পেনাল্টি মিস ছিটকে দিতে পারত আর্জেন্টিনাকে। কিন্তু ডিবুর গ্লাভস বাঁচিয়ে দিল। দুই মহাতারকার দেওয়াল লিখনে কী অদ্ভুত মিল!
এদিন টেক্সাসে লিসান্দ্রো মার্টিনেজের গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার দশ মিনিট আগে মেসির কর্নার থেকে হেডে গোল করেন মার্টিনেজ। এই একটি মুহূর্ত ছাড়া গোটা ম্যাচে বিবর্ণ মেসি। চোট সারিয়ে ফিরলেও ছাপ ফেলতে পারেননি। আর্জেন্টিনা প্রায় গোটা ম্যাচে এগিয়ে থাকলেও দাপুটে ফুটবল খেলতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের স্টপেজ টাইমে ৭০ হাজারের স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে ম্যাচে সমতা ফেরায় ইকুয়েডর। গোল করেন কেভিন রদ্রিগেজ। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। প্রথম শট মিস মেসির। বল ক্রসপিসে লাগে। কিন্তু দলকে লড়াইয়ে রাখেন এমি। ইকুয়েডরের অ্যাঞ্জেল মেনার প্রথম শট রুখে দেন।
অ্যালান মিন্ডার দ্বিতীয় শটও বাঁচান কাতার বিশ্বকাপের গোল্ডেন গ্লাভসজয়ী আর্জেন্টাইন গোলকিপার। জোড়া সেভের পর নিজস্ব স্টাইলে মাঠেই সেলিব্রেট করতে দেখা যায় এমিকে। আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করেন জুলিয়ান আলভারেজ, ম্যাক অ্যালিস্টার, গঞ্জালো মন্টিয়েল এবং নিকোলাস ওটামেন্ডি।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন