সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
‘ও ব্যাট করে বীরেন্দ্র শেবাগের মত, আর প্রতিপক্ষের ওপর বিরাট কোহলির মত তেঁড়েফুড়ে আক্রমণ করে।’- এভাবেই বোন হরমনপ্রীত কউর সম্পর্কে বললেন তার বোন হেমজিৎ কউর। হেমজিতের বোনের ব্যাটে চড়েই নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে মিতালি রাজের ভারত। ইংল্যান্ডে যাওয়ার আগে বাবাকে নাকি হরমনপ্রীত বলে গিয়েছিলেন, এবার বিশ্বকাপ নিয়েই ফিরবেন।
পাঞ্জাবের মোগার মেয়ে হরমনপ্রীত। পুরুষ দলের ওপেনার আজিঙ্কা রাহানের বড় ভক্ত। বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার ১১৫ বলে ১৭১ রানের টর্নেডো ইনিংসে ভর করে ৩৬ রানে ম্যাচ জিতেছে ভারত। স্বাভাবিকভাবেই তার বাড়িতে খুশির অন্ত নেই। রাত থেকেই শুরু হয়েছে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের যাতায়াত। আশপাশের বাড়ির ছোট ছেলেমেয়েরা ঢোল বাজাতে বাজাতে চলে এসেছে। পাশাপাশি চলছে মিষ্টি বিতরণ। সকলে অভিনন্দন জানাচ্ছেন হরমনপ্রীতের গর্বিত বাবা মাকে।
হেমজিৎ বলেছেন, ‘ছোটবেলা থেকে বোন ছেলেদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলত। রানের ক্ষুধা ওর বরাবর। মাঠে বিরাট কোহলির মত আক্রমণাত্মক ও কিন্তু মাঠের বাইরে যথেষ্ট শান্ত এবং সংযত। বীরেন্দ্র শেবাগ ওর আদর্শ। তার মতই ব্যাট করে। ‘ হেমজিতের বিশ্বাস, বৃষ্টি এসে ব্যাঘাত না ঘটালে তার বোন একাই ২০০ করে ফেলতেন!
হরমনপ্রীতের প্রথম কোচ তার বাবা হরমিন্দর সিংহ। তিনিও ভাল ক্রিকেট খেলতেন কিন্তু খুব বেশি দূর এগোতে পারেন নি। এখন মেয়ের মাধ্যমে নিজের স্বপ্নপূরণ করছেন তিনি। হরমিন্দর বলেছেন, মেয়ে তাকে কথা দিয়েছেন, দেশের জন্য তিনি বিশ্বকাপ নিয়ে আসবেন।
হরমনজিতের মা সতিন্দর কউরের কথায় উঠে এসেছে মেয়ের ছোটবেলার দিনগুলো। যে সময় অন্য মেয়েরা হইচই করে কাটিয়েছে, তার মেয়ে সেই সময়টা নিজেকে ডুবিয়ে দেন প্র্যাকটিসে। এমনকী বাড়িতেও ঘরের বাইরে প্র্যাকটিস করতেন তিনি। মেয়েকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে তার বাবা হরমনজিতের অসাধারণ অবদানের কথাও বলেন হরমনপ্রীতের মা।
১৯৮৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কপিল দেবের অপরাজিত ১৭৫ ভারতকে হারের দোরগোড়া থেকে ফিরিয়ে এনেছিল। হরমনজিতের পরশুর ইনিংসকে ক্রিকেট লিজেন্ড কপিলের সেই ব্যাটিংয়ের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। অনেক মা বাবাই চাইছেন, তাদের মেয়ে বড় হয়ে ক্রিকেট খেলুক হরমনপ্রীতের মত।-কালের কণ্ঠ অনলাইন