মোহনপুরে কৃষক হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামী গ্রেফতার

আপডেট: মার্চ ২৬, ২০২৫, ৪:২৪ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক :


র‌্যাব-৫, সিপিএসসি, রাজশাহী ও র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি যৌথ আভিযানিক দল বুধবার (২৬ মার্চ) রাক পৌনে ২ টায় ফরিদপুরের সালথা থানার সিংহ পোতাপ এলাকা থেকে মোহনপুরের কৃষককে অপহরণ করে মাথা এবং মগজ বিচ্ছিন্ন করা চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের প্রধান দুই আসামী মো. রাসেল (২৪) ও মো. শরিফুল ইসলাম (৩৫)কে গেস্খফতার করেছে। উভয়ের পিতা রাজশাহীূর মোহনপুর থানার ধুরইল গ্রামের মো. রুুস্তম আলী। খবর বিজ্ঞপ্তির।

বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, ধৃত আসামীদ্বয় নিহত আলতাব আলীর প্রতিবেশী। এজাহারনামীয় ১নং হতে ৫নং আসামীগণের সাথে পূর্ব হতে জমি-জমা ও রাস্তার জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। চলতি ৯ মার্চ আনুমান রাত ৮ টার দিকে বাদী ও নিহত ভিকটিম বাড়িতে আসার সময় আসামী শরিফুল গভীর নলকূপ থেকে জমিতে পানি নেওয়ার জন্য বাদী ও নিহত ভিকটিমকে জমিতে যেতে বলে।

পরে রাত আনুমান ৯:৩০ ঘটিকার দিকে নিহত ভিকটিম জমিতে পানি নেওয়ার উদ্দেশ্যে গেলে জমিতে পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে নিহত ভিকটিম ও শরিফুলের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামীগণ লাঠি-শোঠা নিয়ে ভিকটিমকে মারপিট, রক্তাক্ত জখম করে ও অপহরণ করে। অপহরণের পর থেকেই এজাহারনামীয় সকল আসামীই এলাকা থেকে গা ঢাকা দেয়। পরে ভিকটিমকে পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য সব জায়গায় অনেক খোঁজাখুজি করেও না পেলে উক্ত জমিতে মানুষের মাথার মগজ সদৃশ দেখতে পাওয়া যায়। যা অত্যন্ত চাঞ্চল্য ও সন্দেহের উদ্রেক করে।

পরবর্তী ৬ দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ১৬ মার্চ মোহনপুরের তুলসীক্ষেত্র বিলের কাছে জমিতে এলাকার অপর কৃষকেরা পানি সেচ দিতে গেলে ডোবা থেকে একটি মাথা ছাড়া লাশ দেখতে পায়। পরে লাশটি ভিকটিমের বলে শণাক্ত করা হয়। উক্ত নারকীয় ঘটনা ও হত্যাকাণ্ড এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও ভীতির সৃষ্টি করে।

ঘটনায় মাহনপুর থানায় নিহত ভিকটিম এর ছেলে বাদী একটি মামলা দায়ের করেন। এজাহার নামীয় আসামীগণ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিজেদেরকে আত্মগোপন করে রাখে। উক্ত ঘটনায় জড়িত আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় আসামীদের গেস্খফতার করা হয়।
ধৃত আসামীদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজশাহী জেলার মোহনপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version