মোহনপুরে কোচিং করতে গিয়ে অপহরণের শিকার তিন ছাত্রী!

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭, ১২:০৬ পূর্বাহ্ণ

মোহনপুর প্রতিনিধি



রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি উদ্যোগে ব্যাংগের ছাতার মতো দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে কোচিং সেন্টারের নামে রমরমা ব্যবসা। এসব কোচিং সেন্টারে পড়তে গিয়ে পথের মধ্যে থেকে অষ্টম শ্রেণির তিন ছাত্রী অপহরণের শিকার হয়েছে। এ ব্যাপারে ওই তিন ছাত্রীর বাবা মোহনপুর থানায় পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৩ ফেব্রায়ারি কেশরহাট পৌরসভার রায়ঘাটি গ্রামের জনৈক ব্যক্তির ৮ম শ্রেণি পড়–য়া মেয়ে কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়ার জন্য সকাল সাড়ে ৮টার সময় বাড়ি থেকে বের হয়ে পথের মধ্যে অপহরণের শিকার হয়েছে। একইভাবে ১৭ ফেব্রায়ারি বিকেলে প্রাইভেট পড়ার জন্য কোচিং সেন্টারে যাওয়ার পথে ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নের দেওপুর গ্রামের জনৈক ব্যক্তি ৮ম শ্রেণির পড়–য়া মেয়ে অপরহণের শিকার হন। প্রায় ১৫ দিন আগে উপজেলার লালইচ গ্রামের জনৈক ব্যক্তির মাদ্রাসা পড়–য়া মেয়ে অপরহণের শিকার হয়।
এলাকার সচেতন মহলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমান সরকার শিক্ষার জন্য সকল প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেলও এক শ্রেণির অর্থ লোভী, শিক্ষকরা শ্রেণি কক্ষে শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে পাঠদান না করে শিক্ষার্থীদের কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করছেন। এতে করে অভিভাবকেরা তাদের স্কুল কলেজ পড়–য়া ছেলে মেয়েদের নিয়ে চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন। এক শ্রেণির বখাটেরা কোচিং সেন্টারে আসা-যাওয়ার পথে ছাত্রীদের প্রথমে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। প্রেম প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করতে থাকে। এক পর্যায়ে ছাত্রীরা অপহরণের শিকার হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে ছাত্রী অভিভাবকরা উৎবেগ আর উৎকণ্ঠায় দিন যাপন করছেন। কোচিং সেন্টারের নামে রমরমা ব্যবসা বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ জানান, ভিকটিমদের উদ্ধারসহ অপহরণকারীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ