মোহনপুরে চলছে বাঁধ মেরামতের কাজ প্রবল ¯্রােতে বাধাগ্রস্ত

আপডেট: আগস্ট ১৭, ২০১৭, ১:৩৭ পূর্বাহ্ণ

মোহনপুর পৌর প্রতিনিধি


মোহনপুরে চলছে বাঁধ মরামতরে কাজ-সোনার দশে

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ভীমনগর এলাকার শিবনদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে নিমাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ মেরামতের জন্য কাজ শুরু করেছে। কিন্তু প্রবল ¯্রােতের কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বাঁধ পূনঃনির্মাণের কাজ। দুই-তিন দিনের মধ্যে বাঁধ মেরামত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান বলেন, জরুরি ভিত্তিতে এ ধরনের কাজগুলোতে প্রযুক্তি এবং বাঁশসহ বিভিন্ন দ্রব্য ব্যবহার করা হয়। সে দিকটি মাথায় রেখে আমরা দ্রুত মেরামতের কাজ করার চেষ্টা করছি।
প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান আরও বলেন, প্রথম দিন থেকে বেড়িবাঁধের ওই পয়েন্টে পানির প্রবল ¯্রােত থাকায় বাঁধ মেরামত করা সম্ভব হয় নি। দুইদিন থেকে বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। দুই একদিনের মধ্যেই বাঁধটি মেরামত করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
বেড়িবাঁধ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাঁধ ভাঙা স্থান মেরামতে কাজ চলছে। প্রবল ¯্রােতের মধ্যেই বাঁশ দিয়ে চলছে নতুন করে বাঁধ নির্মাণ।
বুধবার পর্যন্ত উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও কেশরহাট পৌরসভার এবং পশ্চিম বাগমারার নতুন নতুন এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এরমধ্যে উপজেলার ধুরইল, ঘাসিগ্রাম, রায়ঘাটি, জাহানাবাদ, মৌগাছি ও বাকশিমইল ইউনিয়নের আরো নতুন নতুন এলাকা।
মোহনপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুক্লা সরকার জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডেকে বঁাঁধ ভাঙা পর থেকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।
রাজশাহী জেলা কৃষি অধিদফতরের উপপরিচালক দেব দুলাল ঢালি মোহনপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রহিমা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে বন্যায় প্লাবিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
মোহনপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রহিমা খাতুন জানান, ভীমনগর বেড়িবাঁধ ভেঙে এই পর্যন্ত চারদিনে দুই হাজার ৭৬৬ হেক্টর জমির ফসল প্লাবিত হয়েছে। বেশি ক্ষতি হয়েছে মধ্যে রোপা-আমন, রোপা-আউস, পটল, পানবরজ, করলা, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ বিভিন্ন সবজির খেত রয়েছে। মোহনপুর উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, চারদিনের বন্যার পানিতে ধুরইল ও ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নের ১৮টি পুকুর প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে গতকাল বুধবার বিকেলে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সাংসদ আয়েন উদ্দিন উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকতাদের নিয়ে শিবনদীর বাঁধ ভাঙন ও প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনে তিনি দ্রুত পাউবোকে বাঁধ মেরামতের জন্য বলেছেন এবং প্লাবিত এলাকায় সরকারি সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। পরিদর্শনে তার সঙ্গে ছিলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান, জেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (ডিআরও) আমিনুল হক, মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) শুক্লা সরকার, পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলমগীর কবির, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ, মোহনপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বিপুল কুমার মালাকার, কেশরহাট পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ, জেলা পরিষদের সদস্য এমদাদুল হক, ইউপি চেয়ারম্যান কাজিমউদ্দিন সরকার, আজাহারুল ইসলাম বাবলু, আল অমিন বিশ্বাস, যুবলীগ সভাপতি ইকবাল হোসেন, ধুরইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দোলোয়ার হোসেন।