মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৯ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
মোস্তফা কামাল, মোহনপুর:
মোহনপুরে ফসলের মাঠজুড়ে কৃষকের স্বপ্ন দুলছে বাতাসে। মধুমাস জৈষ্ঠে পুরোদমে চলবে সোনালী ফসল বোরোধান কাটা-মাড়াই। ধান ঘরে তোলার স্বপ্নে দিন কাটাচ্ছেন সরকারী প্রনোদনা সুবিধাভুগি প্রান্তিক কৃষকরা। চলতি মৌসুমে মোহনপুর উপজেলায় প্রায় ৭ হাজার ৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়ে বলে জানায় উপজেলা কৃষি বিভাগ।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলার বিল, খাল, নদী-নালা ও ডোবায় বোরো ধানের চাষ করা হয়ে থাকে। আলু, ভুট্টা ও শরিষার চাষের সমপরিমাণ জমিতে বোরোধান চাষ হয়েছে। এবছর তীব্র খরার ও তাপদাহের মাঝেও সেচপাম্পগুলো সচল ছিল। দুই একটি স্থান ছাড়া যথারীতি সেচ কাজ অব্যাহত ছিল। এছাড়াও ধানের ন্যামুল্য নির্ধারণ ও সরকারী প্রনোদনা সুবিধার কারণে কৃষকরা আগ্রহের সঙ্গে বোরো ধানোর চাষ সমাপ্ত করে।
মৌসুম শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রাকৃতিক প্রতিকুলতা ছাড়াই বোরো ধানের চাষ সম্পন্ন হয়েছিল।এজন্য রোগ-বালায় এবং পোকার আক্রমণ ছিলনা বলে বোরো ধান ভাল হয়েছে। দেশি প্রজাতির ধানের চাষ নেই বললেই চলে। উচ্চ ফললনশীল জাতের মধ্যে জিরা শাল, ৭৫, ৭৬ ও ১০৩ জাতের ধানের বেশি চাষ হয়েছে। অন্যদিকে ফলন কিছুটা কম হলেও অধিক দামে পোষানোর জন্য জিরা শাল জাতের ধানের চাষও হয়েছে বেশি জমিতে।
মোহনপুর উপজেলার তিলাহারি গ্রামের কৃষক এনামুল হক বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর ধান ভাল হয়েছে। আমার ধান আগাম পাকার কারণে আগাম ভাবে কেটে ঘরে তুলতে পেরেছি। সব স্থানে পুরোদমে ধান কাট শুরু হয়নি। তবে আমার ধানের ফলন খুব ভাল হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ২৬মণ হারে ধান হয়েছে। এতেই আমি খুশি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মোহনপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তাকিমা খাতুন বলেন, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় প্রায় ৭ হাজার ৪০হেক্টর জমিতে বোরোধান চাষ সম্পন্ন হয়েছে। অধিকাংশ মাঠের অদিকাংশ ধান পেকে গেছে। এখন পর্যন্ত ৭শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে ধানকাটা শুরু হবে। ধানের ভাল ফলন হবে বলেও আশাবাদী তিনি।