মঙ্গলবার, ২ মার্চ, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ ।
মোহনপুর প্রতিনিধি
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কোটালিপাড়া-ফতেপুর উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। স্কুলটির সভাপতি, প্রধান শিক্ষক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার যোগসাজসে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় উপপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
কোটালিপাড়া-ফতেপুর উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ইউসুফ আলীর দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলার কোটালিপাড়া-ফতেপুর উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ে অবৈধভাবে জাল সনদের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা দফারফার করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে ২০১৬ সালে ১৫ ডিসেম্বর সভাপতি ইসলাম আলী সরদার, প্রধান শিক্ষক সাকের আলী, মোহনপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জয়নাল আবেদীন মিলে দুইজন সহকারী শিক্ষক ও একজন সহকারী গ্রান্তাগারিক পদে রাতের অন্ধকারে কাউকে কিছু না জানিয়ে ‘নিয়োগ বোর্ড’ বসিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
অভিযোগকারী ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হয়েও নিয়োগের বিষয়ে কিছু জানতে পারেন নি। এমনকি ম্যানেজিং কমিটির অনেকের মধ্যে মোছা. জুলেখা বেগম এবং সহকারী গ্রান্তাগারিক পদে আবেদনকারী প্রার্থী মো. মাহাজিব আলীসহ আরো অনেক প্রার্থী নিয়োগের বিষয়ে কিছুই জানেন না।
অভিযোগকারী ইউসুফ আলী অভিযোগে উল্লেখ করেন, সহকারী গ্রান্তাগারিক পদে যাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তার গ্রান্তাগারিক ও বিএ সম্মান সনদ জাল ও ভুয়া। ওই বিদ্যালয়ে হিন্দু ছাত্রী নেই অথচ কাব্যতীর্থ পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সহকারী শিক্ষক বিজ্ঞান পদে যে শিক্ষককে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে তার সনদপত্র জাল ও ভুয়া।
কোটালিপাড়া-ফতেপুর উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাকের আলী টাকা আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘সরকারি বিধি মোতাবেক নিয়োগ দিয়েছি। আমার যা হয় হবে।’ বিদ্যালয়ের সভাপতি ইসলাম আলী সরদারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ব্যস্ততা দিখিয়ে ফোন কেটে দেন।
মোহনপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন অভিযোগের বিষয়ে বলেন, তারা তো অভিযোগ করতেই পাবেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে যেটা প্রমাণিত হবে, সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে উপপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সরকারি বিধি উপেক্ষা করে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়োগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।