মৌসুমি রোগের প্রকোপ বাড়ছে II সচেতনতা ও সতর্কতা জরুরি

আপডেট: নভেম্বর ১৭, ২০২৩, ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ

 

ঝিরঝির বৃষ্টির সঙ্গে উত্তরাঞ্চলে নামছে শীত। দিনের বেলা থাকছে গরমের আবহ। কখনো শীত আবার কখনো গরম এই হচ্ছে বর্তমান আবহওয়ার হালচাল। আর আবহওয়ার পরির্বতনের এই সময়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। মৌসুমি রোগের পাদুর্ভাব বেড়েছে। সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর চাপ। সুতরাং এমন পরিস্থিতিতে সচেতনতা ও সতর্কতার কোন বিকল্প নেই। রোগাক্রান্ত হওয়ার পূর্বেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

ঋতু পরিবর্তনের সময় কমবেশি সবারই ঠান্ডা, সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কিছু ভাইরাস আছে যেগুলো শুধু শীতের সময়েই আক্রমণ করে। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে জীবাণু শ্বাসতন্ত্রে চলে যায়। তাই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

বিভাগীয় শহরের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মৌসুমি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষে করে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীদের সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিন ৩ হাজারের অধিক রোগী এখানে সেবা নিচ্ছেন। হাসপাতালের শিশু বিভাগের চাপ বেড়েছে। একেকটি বেডে একসঙ্গে তিন থেকে চার জন শিশু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালে বর্তমানে স্যালাইন সংকটও দেখা দিয়েছে। বাইরেও মিলছে না প্রয়োজনীয় স্যালাইন। সুতরাং এসময় সাধারণ মানুষকে যেমন সচেতন হতে হবে তেমনি চিকিৎসা উপকরণগুলোও নিশ্চিতের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

চিকিৎসকরা বলছেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে বলে শিশু ও বয়স্কদের মৌসুমি রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা বেশি থাকে। কিছু রোগ এমনি থেকেই সেরে যায়। আবার অনেক রোগাক্রান্তকে বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রায়ই হাসপাতালে যেতে হয়। বিশেষ করে নিউমোনিয়ায় আক্রান্তদের হাসপাতালে নেয়া জরুরি হয়ে পড়ে। কিন্তু প্রায়ই হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সংকট দেখা যায়। এছাড়া রোগী ও স্বজনদের অসচেতনতা ও অসতর্কতাও ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

পুরোপুরিভাবে শীত আসার আগেই হাসপাতালগুলো রোগীর চাপ সামলাতে পারছে না। শীত বাড়লে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। কাজেই এখন থেকেই স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি থাকতে হবে। ডেঙ্গু রোগের কারণে এমনিতেই জনস্বাস্থ্যের ওপর ঝড় বয়ে যাচ্ছে। এখন সাধারণ জ¦র, সর্দি, কাশির ধাক্কা সামলানোর মতো অবস্থা অনেকের নেই। নাগরিকদের মৌসুমি অসুখ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। একটু সচেতন হলে ঠান্ডাজনিত রোগ সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব। শুষ্ক মৌসুমে যতটা সম্ভব দূষণমুক্ত পরিবেশে থাকতে হবে। ঘরের বাইরে চলাচলে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের কোনো অসুখের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই শ্রেয়। এ বিষয়ে নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকেও প্রচার-প্রচারণাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।