মৌসুমেও কমছে না সবজির দাম নতুন আলুর কেজি ১২০

আপডেট: ডিসেম্বর ৬, ২০২৪, ১১:০১ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:


বাজারে মৌসুমী বাহারি সবজি আসতে শুরু করেছে। এই সময় সবজির দাম কম থাকার কথা থাকলেও এখনও চড়া সবজির বাজার। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৫০ টাকার নিচে নেই কোনো সবজি। নতুন আলুর কেজি ১২০ টাকা আর করলার কেজি ১০০ টাকা। এছাড়া বরবটি, বিচিওয়ালা শিম, টমেটো, গাজর ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন বাজারঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

বাজারে প্রতি কেজি নতুন আলু ১২০ টাকা, টমেটো ১৪০-১৬০টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, করলা ১০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। মুলা ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, বিচিওয়ালা শিম প্রতি কেজি ১০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। অন্যদিকে সাধারণ শিম ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, শালগম ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, পেঁয়াজের ফুল প্রতি আঁটি ৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুল কপি, বাঁধা কপি ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে সপ্তাহজুড়ে ১৩০ টাকা কেজিতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হলেও ৫ টাকা কমেছে এ পণ্যের দাম। বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১২৫ এবং আমদানি পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকা।

বাজারে বেড়ে গেছে খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম। দোকানিরা বাড়তি দর পেতে বোতল থেকে ঢেলে খোলা সয়াবিন হিসেবে তা বিক্রি করছেন, এমন অভিযোগও মিলছে অহরহ। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, খুচরা পর্যায়ে বর্তমানে এক লিটার খোলা সয়াবিন ১৬৫-১৬৮ টাকা এবং এক লিটার খোলা পাম তেল ১৫৮-১৫৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী ফরিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, শীত পড়ে গেছে তবুও বাজারে সবজির কেজি এখনও ৫০ টাকার ওপরে। অন্যগুলো ৬০ টাকা ৮০ টাকা। শীতের সময় সবজির দাম কমার কথা থাকলেও এখনো বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এই সময় যদি সবজির দাম না কমে, তাহলে আর কোন সময় কমবে?

বিক্রেতা আবদুল খালেক বলেন, আগের তুলনায় সবজির দাম কমেছে। কিছুদিন আগেও সবজির দাম খুব বেড়ে ছিল। এখন কেবল শীত পড়তে শুরু করেছে, অনেক সবজি এখনো বাজারে ওঠেনি। নতুন করে সবজি উঠলেই দাম অনেক কমে আসবে। আবার বেশ কিছু সবজির মৌসুম ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে, সেইসব সবজির দাম কিছুটা বাড়তে থাকে। আর ১৫-২০ দিনের মধ্যে সব ধরনের সবজির দাম কমে আসবে এবং নতুন সবজিতে বাজার ভরে যাবে।

এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২০০ টাকায়। এ ছাড়া দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ৩০০০ টাকা, ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৯০০ টাকা হারে, আর ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৪০০ টাকা ও ৩০০-৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জন্য গুনতে হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, কোরাল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া প্রতি কেজি বোয়াল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪৫০, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।

এদিকে সোনালি ও ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমলেও স্থিতিশীল রয়েছে অন্যান্য মাংস ও ডিমের দাম। কেজিতে প্রতিকেজি সোনালি মুরগি ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৭৫-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি দেশি মুরগি ৫৫০-৬০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৩০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ