ম্যারাডোনার আক্ষেপ, যদি আরেকটু যত্ন নিতেন নিজের!

আপডেট: আগস্ট ১৬, ২০১৭, ১:১৩ পূর্বাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক


ডিয়েগো ম্যারাডোনা এখন পিছু ফিরে তাকালে কষ্টই পান। কি উন্মাতাল জীবনটা না গেছে খেলোয়াড়ী জীবনে। তখন নিজের দিকে তাকানোর সময়ও ছিল না। আর এতো বছর পর বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলারের আক্ষেপ, হায়! যদি আরেকটু যত্ন নিতেন নিজের! পরক্ষণেই অবশ্য এই ভেবে খুব সুখী মানুষ যে ‘ফুটবল ইতিহাসের অংশ’ তিনি!
ম্যারাডোনার হালের কর্মকাণ্ড সর্ম্পকে খুব বেশি মানুষ হয়তো জানেন না। তাই জানিয়ে দিতে হয় আগে। তিনি আবার ফুটবল কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম বিভাগের দল ফুজাইরাহর ম্যানেজার হয়েছে কিছুদিন হলো। তার টার্গেট, এই ক্লাবটিকে এক ধাপ ওপরে দেশের শীর্ষ ফুটবল লিগে তুলে নেয়া।
এখন আমিরাতেই সময় কাটছে ফিফার শতাব্দীর সেরা ফুটবলারের। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি এর মাঝে ফিফার কাছে সাক্ষাৎকারে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ফিরে গিয়েছিলেন অতীতে, খেলোয়াড়ি জীবনে। সেখানে বলেছেন, ক্যারিয়ারের শেষ দিকে এসে ফিটনেস ইস্যুতে খুব উদাসীন হয়ে পড়েছিলেন। সেটা নিয়ে তার সতর্ক থাকা উচিৎ ছিল।
‘ম্যারাডোনার যা করার ছিল তা সে করে গেছে…অনেক মজায় কেটেছে তার।’ নিজের ব্যাপারে এই কথা বলার পর আবার আক্ষেপও ঝরে কণ্ঠে, ‘আমার একটু দুঃখ আছে কারণ আমার নিজের যতোটা যত্ন দেওয়া উচিৎ ছিল ততোটা আমি নেই নি। আমার বিশ্বাস বলটার প্রতি শ্রদ্ধারও অভাব ছিল। তবে তারপরও আমি ফুটবল ইতিহাসের অংশ। ওটাই যথেষ্ট আমার নাতি-নাতনির কাছে এই গল্প করার যে তার নানা কে ছিল, কোথায় ছিল, কেমন খেলেছিল, কি ছিল তার ভাবনা।’
১৯৮৬ বিশ্বকাপের শিরোপা ম্যারাডোনা প্রায় একা হাতেই জিতিয়েছিলেন আর্জেন্টিনাকে। ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলিকে এরপর দুই মৌসুমে এনে দিয়েছিলেন শিরোপা। খেলোয়াড়ী জীবন শেষে কোচের কাজ শুরু করেন ম্যারাডোনা। মান্দিউ দে করিয়েন্তেস ও রেসিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ থেকে ছিলেন আর্জেন্টিনার কোচ। দক্ষিণ আফ্রিকার ২০১০ বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর দেশের কোচের দায়িত্ব হারান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুটবল কোচিংয়ে স্বাদ তিনি প্রথম নেন ২০১১ সালে। আরব গাল্ফ লিগের দল আল ওয়াসলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ২০১১/২০১২ মৌসুমে। সাফল্য মেলে নি। এবার সেই আমিরাতে এক ধাপ নিচের দলকে ওপরে তোলার চ্যালেঞ্জ তার।