শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
বাঙালি নারী আর শাড়ি এ যেনো একে অপরের জন্যই। বারো হাত একখানা শাড়ির সৌন্দর্য্যের কাছে যেন হার মানে অন্যসব পোশাকই। আর তাই তো বাঙালি নারীদের কাছে শাড়ি খুব শখের একটি পোশাক। কিন্তু এই শখের পোশাকটি যদি আমরা যেমন-তেমনভাবে ফেলে রাখি তবে তা টিকবে না খুব বেশি দিন। তাই তো পুরোনো ও দামি শাড়িগুলো অনেকদিন পর্যন্ত ভালো রাখার জন্য চাই বাড়তি যতœ। তাই এবার শাড়ির যতœ এবং সংরক্ষণের নানা টিপস দেয়া হলো।
কাপড় রাখার স্থানটি শুকনো হওয়া আবশ্যক, নতুবা ছত্রাক সংক্রমণের ভয় থাকে। ব্যবহৃত শাড়ি ৩ মাস অন্তর ও অব্যবহৃত শাড়ি ৬ মাস অন্তর বের করে ধুতে হবে। শাড়ির ভাঁজে ন্যাপথলিন, কালোজিরা, নিমপাতা ইত্যাদি দিয়ে রাখুন, এতে পোকায় কাটবে না। আলমারি বা ট্রাংক যেখানেই শাড়ি রাখুন না কেন, তা যেন ফুটো না হয় নতুবা তেলাপোকা বা ইঁদুরে কাটতে পারে শাড়ি। কাঠের আলমারিতে শাড়ি রাখলে তা মাঝে খেয়াল করতে হবে আলমারি ঘুণে ধরেছে কি-না, নতুবা শাড়ি কেটে যেতে পারে। স্টিলের আলমারিতে যেন মরিচা না পড়ে, তাতে শাড়ি নষ্ট হয়। শাড়ি সঠিক নিয়মে ধোবেন। নইয়তো শাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে। বাইরে থেকে এসে কিছুক্ষণ বাতাসে রেখে শাড়ির ঘাম শুকিয়ে নিন, নতুবা দাগ পড়তে পারে। শাড়ি রাখার আলমারি শাড়ি রাখার পূর্বে অবশ্যই ঝেড়ে মুছে নিবেন। মসলিন বা কাতান শাড়ির ক্ষেত্রে অবশ্যই সাদা কাগজ ব্যবহার করবেন এবং ড্রাই ওয়াশ না করে পলিশ বা কাঁটা ওয়াশ করানোই ভালো। সুতি শাড়ি ইস্ত্রি করে কিছুক্ষণ বাতাসে রেখে তুলে রাখুন, অনেকদিনের জন্য রাখতে হলে মার এড়িয়ে যান। জর্জেট ও শিফন শাড়ি ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন, চিপবেন না, শুকালে শাড়ি রোল করে রাখুন, এবং অবশ্যই এই শাড়িগুলোতে নিম পাতা বা কালো জিরা দিয়ে রাখুন। তথ্য ও ছবি : ইন্টারনেট