যমুনা সেতু সংযোগ সড়কে যানজট, রাজশাহী থেকে ইদফেরতে যাত্রীদের ভোগান্তি

আপডেট: জুন ১৫, ২০২৫, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:


টাঙ্গাইল-সিরাজগঞ্জের যমুনা সেতু ও সংযোগ সড়কের দীর্ঘ যানজটের কারণে ভোগান্তি পড়েছেন যাত্রীরা। রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোরের যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। এর আগে শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেল থেকে যানজট শুরু হয়। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলো সময়মত রাজশাহীতে না পৌছানোর কারণে বাসগুলো দেরিতে ছেড়ে গেছে।

পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যমুনা সেতু এলাকায় যানজটের কারণে সময়মতো ফিরতে পারছে না যানবাহন। এমন অনিশ্চয়তায় যাত্রীদের দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। শুক্রবার থেকে এই যানজট শুরু হয়েছে। তবে যাত্রী চাপ ও যানজন কমলে আর সমস্যা হবে না।

শনিবার (১৪ জুন) সকাল ও রাতে দুইবার নগরীর শিরোইলে ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, কাউন্টারগুলোতে যাত্রী ধারণের ঠাঁই নেই। প্রচন্ড গরম ও রোদের মধ্যে নারী, শিশু, বয়স্কসহ অনেক যাত্রী বাইরে গরমের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছেন। সকালের প্রথম কয়েকটি বাস ছেড়ে গেলেও বাকিগুলো দুপুরের পর থেকে ছাড়তে শুরু করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অন্যন্যা রাজ্জাক ফিরছেন ঢাকায়। এভারগ্রিন পরিবহনের একটি বাসে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে তার ফেরার টিকিট কাটা ছিল। রাতে কাউন্টারে গিয়ে খবর পান, গাড়িটি রাজধানী থেকে ফিরতে ফিরতে আজ ভোর হবে। এ কারণে ভোর চারটা থেকে তিনি কাউন্টারে বসে আছেন। তবে বিকালেও কাউন্টারের লোকজন বলতে পারছেন না, বাসটি কখন ছাড়বে। তার দাবি, বাসের চেয়ে বেশি টিকিট বিক্রি করায় যাত্রীদের এই দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা ওয়াহিদুজ্জামানের সঙ্গে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কাজে গিয়েছিলেন। শনিবার সকাল ৮টার দিকে তাঁর নির্ধারিত বাসটি ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু বেলা দুইটা পেরোলেও সেই বাসের কোনো খবর পাননি।

ন্যাশনাল কাউন্টারে বসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজশাহীর তানোরের বাসিন্দা সুদীপ্ত অধিকারী। তিনি ওই পরিবহনে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত গাড়ির টিকিট কেটেছিলেন। তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে যাত্রীদের নম্বর আছে। তারা চাইলেই যাত্রাবিলম্বের খবরটি মুঠোফোনে কল দিয়ে জানাতে পারতেন। কিন্তু তারা করেননি। সকালের এই বাস কখন ছাড়বে তা কাউন্টার থেকে বলতে পারেনি।

কেশরহাটের বাসিন্দা নয়ন নামের এক ব্যক্তি সপরিবার ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাজশাহীতে আসেন। তিনি পেশায় একজন পোশাকশ্রমিক। লোকাল গাড়িতে দুপুর ১২টার টিকিট করেছিলেন তারা। কিন্তু গাড়িটি কখন রাজশাহীতে পৌঁছাবে, জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তাই নিরুপায় হয়ে প্রচ- রোদ আর গরমের মধ্যে সপরিবার রাস্তার এক পাশে বসে ছিলেন।
হানিফ কাউন্টারের টিকিট মাস্টার শফিকুল ইসলাম জানান, যমুনার পূর্ব পাশে বড় আকারের যানজট চলছে। এ ছাড়া রাজশাহীর বানেশ্বরে যানজটের কারণে নির্ধারিত সময়ে গাড়িগুলো ফিরতে পারছে না। এ কারণে গাড়ির গ্যাপ তৈরি হয়েছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ