শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
যুক্তরাজ্যের নব নির্বাচিত লেবার পার্টির সরকার এক ঘোষণায় বলেছে, দেশ ‘নিঃস্ব ও ভগ্ন’ হয়ে পড়েছে।
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার মূল্যায়ন তুলে ধরার আগে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে একথা বলা হয়েছে।
দেশে ২ হাজার কোটি পাউন্ডের ঘাটতি থাকার কথা সোমবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সের ভাষণে তুলে ধরবেন অর্থমন্ত্রী রাচেল রিভস।
সেখানে এই আর্থিক ঘাটতির জন্য পূর্বসূরি কনজারভেটিভ পার্টির সরকারকে দোষারোপ করার চেষ্টা নেবে ক্ষমতাসীন নতুন বামপন্থি সরকার, যা কর বাড়ানোর পথ সুগম করবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
গত ৪ জুলাইয়ে যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচনে লেবার দলের জয়ের পরই রিভস সরকারি ব্যয় মূল্যায়ন করে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তিন সপ্তাহের ওই মূল্যায়নের পর কনজারভেটিভ পার্টির ১৪ বছরের শাসনামল শেষে পাওয়া আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে বিপর্যস্ত অবস্থার কথাই ঘেষণা করল স্টারমার সরকার। তারা বলছে, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যতটুকু খারাপ ধারণা করা হয়েছিল, সেটি তার চেয়েও খারাপ।
প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, মূল্যায়নে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাজ্য কপর্দকহীন হয়ে গেছে, ভেঙে পড়েছে। অর্থনীতি এবং জনসেবার ক্ষেত্রে জনবাদী রাজনীতি যে জগাখিচুড়ি অবস্থা তৈরি করেছে তা-ই সামনে আসছে।
আগের সরকার চলতি অর্থবছরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সব খাতে অর্থ বরাদ্দের অঙ্গীকার করেছে, সেই অর্থ কোথাথেকে আসবে তা না জেনেই- এ বিষয়টিও প্রকাশ্যে আসছে বলে জানানো হয় বিবৃতিতে।
কনজারভেটিভ পার্টি অবশ্য লেবারের মূল্যায়নে দেশের অর্থব্যবস্থায় এইসব ‘কালো গহ্বর’ থাকার ঘোষণা নাকচ করেছে। তারা বলছে, কর বাড়ানোর জন্য অজুহাত হিসাবে লেবার পার্টি অর্থনৈতিক দুর্দশার কথা ফাঁপিয়ে-ফুলিয়ে বলছে।
তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ