যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: ভোটারের মনে বিদেশনীতির প্রভাব কতটা?

আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০২৪, ৭:৫৯ অপরাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক:


মার্চের গ্যালপ জরিপ অনুযায়ী, মাত্র এক তৃতীয়াংশ আমেরিকান বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে খুশি। আর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ আমেরিকান অখুশি।
আমেরিকান ভোটারদের ক্ষেত্রে স্বতঃসিদ্ধ কিছু বিষয় আছে। প্রথমত: প্রায় সবসময়ই প্রধান যে বিষয়টি তারা আমলে নেয় সেটি হচ্ছে সেই বিখ্যাত উক্তি ‘অর্থনীতি, বোকা’- কিংবা অভিবাসন। দ্বিতীয়ত: তাদের বিশ্বাস, দেশ ভুল পথে যাচ্ছে।

তৃতীয়ত: বিদেশনীতির বিষয়টি সাধারণত ভোটারদের প্রধান উদ্বেগের তালিকায় থাকে না। কিন্তু যখন এই বিদেশনীতি উদ্বেগ হয়ে দাঁড়ায়, তখন তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা এবং বিদেশে হস্তক্ষেপ নিয়ে অসন্তোষ সংশ্লিষ্ট বিষয় হয়ে থাকে।
মার্চে পরিচালিত গ্যালপ জরিপ অনুযায়ী, মাত্র এক তৃতীয়াংশ আমেরিকান বিশ্বে দেশের অবস্থান নিয়ে খুশি। আর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ আমেরিকান বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে অখুশি।
বিশ্বে অন্যসব দেশের চেয়ে চিনকেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শত্রু বলে থাকে আমেরিকানরা। ভোটারদের এই নেতিবাচক মনোভাব হয়েছে সম্ভবত কোভিড মহামারী থেকে। শত্রু দেশের তালিকায় দ্বিতীয় নাম্বারে আছে রাশিয়া এবং তিন নাম্বারে আছে ইরান।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তায় সম্ভাব্য হুমকিগুলো কী হতে পারে সে বিষয়টি সামনে এলে, আমেরিকান ভোটাররা রাষ্ট্রীয়ভাবে চীন কিংবা রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বেধে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে তেমন উদ্বিগ্ন হয় না। তারা বরং বেশি উদ্বিগ্ন হয় দুবৃত্ত রাষ্ট্র, পারমাণবিক অস্ত্র এবং কম্পিউটার হ্যাকিং নিয়ে।
প্রকৃতপক্ষে, চিনের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির বিষয়টি ভোটারদের মনে উদ্বেগের দিক থেকে পঞ্চম স্থানে রয়েছে বলে সাম্প্রতিক এক গ্যালপ জরিপের ফলে উঠে এসেছে।
ভোটারদের মনে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগ নিয়ে জরিপটি চালানো হয়েছিল। এতেই দেখা গেছে, সাইবারসন্ত্রাস, উত্তর কোরিয়ার হুমকি, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়নের সম্ভাবনা এবং সন্ত্রাসের পরে স্থান পেয়েছে চীন নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি।

এছাড়াও- অবৈধ অভিবাসন, ইউক্রেইনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ এবং ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের বিষয়টি নিয়েও ভোটাররা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনি প্রচারে এখন পর্যন্ত সম্ভবত বিদেশ নীতির সবচেয়ে প্রকাশ্য প্রভাব দেখা গেছে গাজা যুদ্ধ নিয়ে।
ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন বন্ধ করার দাবিতে শিকাগোয় ডেমোক্র্যাটিক দলের জাতীয় সম্মেলনস্থলের বাইরে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদেরকে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। তাদেরকে কনভেনশন হলে কথা বলার জায়গা দেওয়া হয়নি।
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যেও ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রগতিশীল, তরুণ ভোটার এবং আরব আমেরিকানদের কাছ থেকে সমালোচনার শিকার হয়েছেন।

ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী দৌড় থেকে বাইডেন সরে দাঁড়িয়ে সে জায়গায় কমলা হ্যারিস আসার পরও মানুষের রোষ পুরোপুরি কমেছে বলে মনে হয়নি।
মিশিগানের মতো গুরুত্বপূর্ দোদুল্যমান রাজ্য, যেখানে রিপাবিলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প এবং হ্যারিসের মধ্যকার লড়াই হাড্ডাহাড্ডি- সেখানেও যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনও রাজ্যের মতো আরব আমেরিকানের সংখ্যা অনেক বেশি।
আর হ্যারিস নভেম্বরের নির্বাচনের দিনের অনেক কাছে এসেও তার বৈদেশিক নীতি সম্পর্কে প্রকাশ্যে তেমন কোনও কথা বলেননি বা মন্তব্য করেননি। ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে মনোনয়ম পাওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান কোনও গণমাধ্যমে তিনি পূর্ণদৈর্ঘ্য সাক্ষাৎকারও তেমন দেননি।

বাইডেন নির্বাচনি দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর আগে মিশিগান রাজ্য প্রাইমারিতে জয় পেয়েছিলেন ঠিকই। তবে গাজায় ইসরায়েলকে সমর্থন জানানোর কারণে বাইডেন প্রশাসনের ওপর ক্ষুব্ধ ১ লাখেরও বেশি ভোটার ‘আনকমিটেড’ বা ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়’ লেখা ঘরে ভোট দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।
মিশিগান ছাড়াও উইসকনসিন হাওয়াই, ও মিনেসোটার প্রাইমারিতেও আনকমিটেড ভোটের পক্ষে প্রচার চলেছিল সে সময়।
বাইডেনের ইসরায়েলকে দৃঢ় সমর্থন দিয়ে যাওয়ার যে নীতি, তার সমালোচক এবং বিরোধিতাকারীরা সংগঠিতভাবে ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারি ভোটারদেরকে ব্যালটে বাইডেনের পরিবর্তে ‘আনকমিটেড’ বা ‘আনইন্সট্রাকটেড’ ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দেশব্যাপী প্রচার চালিয়েছিলেন।

দুটো রাজনৈতিক দলের প্রাইমারি ভোটের ব্যালটেই বিকল্প হিসাবে ‘আনকমিটেড’ শব্দটি রাখা হয়েছে। যাতে ভোটাররা ব্যালটের কোনও প্রার্থীকে ভোট না দিতে চাইলে ‘আনকমিটেড’ ভোট দিতে পারেন।
ভোটারদের ফোন করে, ব্যানার টানিয়ে, চিঠি পাঠিয়ে, বাড়ি বাড়ি ঘুরে এবং বন্ধু ও স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমেও এই আনকমিটেড ভোট দেওয়ার পক্ষে প্রচার চলেছে। সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে এটা ছিল ডেমোক্র্যাটদের জন্য সতর্কবার্তা।

মিশিগানের কিছু ডেমোক্র্যাটিক পার্টি সমর্থক ভোটার ‘ফরেন পলিসি’ম্যাগাজিনকে বলেছেন, তারা সাধারণ নির্বাচনে আবার ‘আনকমিটেড’ ভোট দিতে পারেন বা সামগ্রিকভাবে ভোটদানে বিরত থাকতে পারে। বাইডেন সরে গিয়ে এখন হ্যারিস সেই জায়গায় আসার পরও চলমান অষন্তোসের লক্ষণ হিসাবে ভোটাররা এমন পদক্ষেপ নিতে পারে।
জাতীয়ভাবে, বৈদেশিক নীতিতে প্রার্থীদের অবস্থান কী সেটি পরোক্ষোভাবে হলেও ভোটের ফলকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পন্ডিত রোনাল্ড লিনডেন পিসটবার্গ পোস্ট-গ্যাজেটে লিখেছেন, (পেনসিলভেইনিয়া আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান রাজ্য, যেখানে ট্রাম্প এবং হ্যারিসের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে)। এই রাজ্যে বিশেষত গাজা এবং ইসরায়েল প্রশ্নে দুই প্রার্থীর অবস্থান, তাদের বৈশিষ্ট্য এবং দক্ষতা পরিমাপক হিসাবেই দেখবে ভোটাররা।

গোটা দেশের আমেরিকানরা ইসরায়েলের পক্ষে চলে গেলেও তাতে তেমন ফারাক দেখা নাও দিতে পারে। কিন্তু বাইডেনের সমস্যাটা হল, বেশ কিছু সংখ্যক আমেরিকান- বিশেষত তার নিজ দল, তরুণ আমেরিকান এবং আরব-আমেরিকান গোষ্ঠীগুলোর আমেরিকানরা ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দেওয়াটা সমর্থন করে না। তারা এখনই গাজা যুদ্ধের অবসান দেখতে চায়।
নির্বাচনি দৌড়ে বাইডেনের জায়গায় হ্যারিস আসার পর তিনি ভিন্ন কিছু করবেন এমনটিই আশা করে এই আমেরিকানরা। কয়েকমাস আগে হ্যারিস মিশিগানে আরব-আমেরিকান নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। সেই বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা গাজা যুদ্ধের বিষয়ে বাইডেনের থেকে ভিন্ন অবস্থান নেওয়ার জন্য হ্যারিসকে তাগাদা দিয়েছেন।
ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাসের নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার ইসরায়েলের হামলায় নিহত হওয়ার পর বাইডেন এবং হ্যারিস দুইজনেরই দৃষ্টিভঙ্গিতে একটু ভিন্নতা দেখা গেছে। তারা নতুন করে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি আলোচনা শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন।

হ্যারিস তিন মিনিটের এক ভাষণে বলেছেন, “এই মুহূর্তটি শেষ পর্যন্ত আমাদেরকে গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটানোর একটি সুযোগ করে দিয়েছে।” যুদ্ধ বন্ধ হতে হবে, গাজার মানুষের দুর্ভোগ অবসান হতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
যদিও রাজনৈতিক চাপের মুখেও হ্যারিস গাজা যুদ্ধের বিষয়ে ভিন্ন কী অবস্থান নিতে পারেন তা সবিস্তারে ব্যাখ্যা করেননি। কিন্তু তিনি ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাত নিয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে একটি ভারসাম্য রক্ষা করে চলার চেষ্টা করেছেন।
ফলে সামগ্রিক দিক থেকে বাইডেন এবং হ্যারিসের বৈদেশিক নীতি হয়ত দেশে তাদের সমর্থক এবং বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের কাছে- বিশেষ করে যারা ট্রাম্পের আবার হোয়াইট হাউজে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন- তাদের কাছে ভাল নম্বরই পেতে পারে। কিন্তু ট্রাম্পের জন্য তা মোটেও অনুকূল কিছু হবে না।

এবার আসা যাক ইউক্রেইন যুদ্ধের প্রসঙ্গে। একথা সত্য যে, আমেরিকানদের বেশিরভাগই রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেইনকেই সমর্থন করে। কিন্তু ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ‘আমেরিকা সর্বাগ্রে’ শপথে যে স্বাতন্ত্র্যবাদের নীতি নিয়েছিলেন, তা আমেরিকান কিছু ভোটারের মন জয় করেছে; যারা বিশ্বাস করে যে, ইউক্রেইনকে সামরিক সমর্থন দেওয়ার তেমন কোনও মানে হয় না, বিশেষ করে যদি এতে সংঘাত আরও দীর্ঘ হয়। তাছাড়া, এই যুদ্ধ শেষের লক্ষণও এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না।
২০২১ সালে বাইডেন এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে আফগানিস্তান যুদ্ধের ইতি ঘোষণা করেছিলেন। ওই যুদ্ধকে তিনি ‘চিরন্তন যুদ্ধ’ আখ্যা দিয়েছিলেন। ট্রাম্পও ইউক্রেইন যুদ্ধের ক্ষেত্রে একই সিদ্ধান্ত নেবেন কিনা সেটি একটি প্রশ্ন।

ইউক্রেইন যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়তে পারে। আর অনেক আমেরিকানও আছে যারা ট্রাম্পের মতোই কাউকে ভোট দিতে প্রস্তুত, যিনি আফগানিস্তানের মতোই আরেক ‘চিরন্তন যুদ্ধ’ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করে এক ধরনের শান্তি চুক্তি করার মধ্য দিয়ে।
ওদিকে, বাইডেন প্রশাসন গত এপ্রিলে ইউক্রেইনকে সামরিক সহায়তা প্যাকেজ দেওয়ার অংশ হিসাবে কংগ্রেসের দাবি মেনে ইউক্রেইন যুদ্ধ জয়ের একটি লিখিত পরিকল্পনা দিতে ২ মাসেরও বেশি দেরি করায় ক্যাপিটল হিলের আইনপ্রণেতারা ক্ষুব্ধ হন।

হাউজ ফরেন কমিটি চেয়ারম্যান মাইকেল ম্যাককল তখন ‘ফরেন পলিসি’ ম্যাগাজিনকে এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ইউক্রেইন যুদ্ধ জয়ের কোনও স্পষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া প্রশাসনের আবার সেই একই পথে চলার সম্ভাবনা রয়েছে, যে পথে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের যুদ্ধ আরও দীর্ঘ হবে আর যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বলতারও প্রকাশ ঘটবে কমিউনিস্ট চীনসহ অন্যান্য বৈরি দেশগুলোর কাছে।
বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে বাইডেন প্রশাসনের জন্য চিন আরেকটি মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে। ট্রাম্প এবং বাইডেন দুইজনই একমত যে, আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় চিনই একমাত্র শক্তি যাদের যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিশ্ব ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করার অভিপ্রায় এবং ক্ষমতা দুইই আছে।

তবে বাইডেন প্রশাসন এও উল্লেখ করেছে যে, কেবল অর্থনৈতিকই নয় আরও কয়েকটি কারণে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত চিনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা।
তার এই দৃষ্টিকোণ চিনে কাজ করা আমেরিকান কোম্পানিগুলোর জন্য একেবারে সঠিক হতে পারে। আবার রাজনৈতিক বাস্তববাদী, যারা আরেকটি বড় শক্তির দেশের সঙ্গে সহাবস্থানের সঙ্গে থেকে কাজ করার পথ খুঁজে বের করায় তেমন ভুল কিছু দেখেন না, তাদের জন্যও এ দৃষ্টিকোণ ঠিক আছে।

কিন্তু আমেরিকার রাজনৈতিক ডামাডোলে যেখানে ৮১ শতাংশ রিপাবলিকান, ৫৯ শতাংশ স্বতন্ত্র এবং ৫৬ শতাংশ ডেমোক্র্যাট চীনকে গুরুতর হুমকি মনে করে, সেখানে বাইডেনের বিরুদ্ধে রিপাবিলিকানরা হয় চিনের বিরুদ্ধে নমনীয় হওয়া, কিংবা চিনকে তুষ্ট করার অভিযোগ তোলে।
এবার যুক্তরাষ্ট্রে নভেম্বরের নির্বাচনে কী ঘটে তার বিরাট পরিণতি দেখা যাবে বাদবাকী বিশ্বে। কিন্তু একইভাবে বাদবাকী বিশ্বে কী ঘটছে সেটিও হোয়াইট হাউজে কে আসবে তা নির্ধারণে মূল ভূমিকা রাখতে পারে। বিশ্বের কেবল অপেক্ষায় থাকা, আর কী হয় তাই এখন দেখার বিষয়।
তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ