সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৮ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
পুলিশি নিগ্রহে আবারো কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুর অভিযোগ উঠলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ওহায়োর ঘটনা। ৫৩ বছর বয়সি ফ্র্যাঙ্ক টাইসনকে মাটিতে উপুড় করে ফেলে তাঁর ঘাড়ের কাছে চেপে ধরেছিল এক পুলিশ কর্মকর্তা। টাইসনের শ্বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মারা যান তিনি।
চার বছর আগে পুলিশের হাঁটুর চাপে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড। তাঁর মৃত্যুর সেই ভয়াবহ ভিডিও্রতে দেখা গিয়েছিল ফ্লয়েড বারবার বলছেন, ‘শ্বাস নিতে পারছি না, আমি শ্বাস নিতে পারছি না।’ ফ্লয়েডের গলা হাঁটু দিয়ে চেপে ধরেছিলেন ডেরেক শভিন নামের এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ। সেই হাঁটুর চাপে ফ্লয়েডের কণ্ঠস্বর আস্তে আস্তে থেমে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। শভিন এখন জেলে।
সেই মৃত্যুর স্মৃতি উস্কে দিয়েছে টাইসনের মৃত্যুর ভিডিও। ঘটনাস্থলে থাকা এক পুলিশের ‘বডিক্যাম’ থেকে এই ভিডিও পাওয়া গিয়েছে। ঘটনার দিন একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মারে টাইসনের গাড়ি। তিনি পালিয়ে কাছেই একটি পানশালায় ঢুকে পড়েন। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ।
দু’জন পুলিশ কর্মবকর্কা তাঁকে চেপে ধরে মাটিতে শুইয়ে দেয়। তার পরে একজন হাঁটু দিয়ে টাইসনের ঘাড়ের ঠিক নীচটায় চেপে ধরে। ভিডিওতে টাইসনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না… আমাকে ছেড়ে দাও… আমার ঘাড় থেকে পা নামাও।’ এক পুলিশ কর্মকর্তাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘কিছু হয়নি, শান্ত হও।
’ যে পুলিশটি টাইসনকে হাঁটু দিয়ে চেপে রেখেছিল, এর পরে সে উঠে দাঁড়ায়। তখন দেখা যায়, মাটিতে নিথর পড়ে রয়েছেন টাইসন। পুলিশ কর্মকর্তা পরস্পরকে প্রশ্ন করেন, ‘ও বেঁচে আছে তো? শ্বাস নিচ্ছে?’
টাইসনকে হাতকড়া পরানোর ৮ মিনিট পরে হাতকড়া খুলে কৃত্রিম ভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস চালানোর চেষ্টা শুরু করে পুলিশ। কিছুক্ষণ পরে ঘটনাস্থলে আসেন চিকিৎসাকর্মীরা। অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় টাইসনকে। সেখানেই মারা যান তিনি। মৃত্যুর কারণ এখনও জানানো হয়নি।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন