শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক:(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন সরকার স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন করে। সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি বৈদেশিক যোগাযোগ ছাড়া দেশের রাষ্ট্রীয় কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়। তা সত্ত্বেও এখনও কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাংলাভাষা খুব কম ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলা ভাষায় বই ও পরিভাষার অভাবের অজুহাতে এখন উচ্চ আদালতে দাপ্তরিক কাজে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়।
বঙ্গবন্ধু তাঁর বক্তৃতায় সর্বস্তরে বাংলা চালুর ব্যাপারে তাগিদ দেন এবং পরিভাষার জন্য অপেক্ষা না করে তা ‘তখনই’ শুরু করার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমরা পরিভাষার অপেক্ষা করবো না। তাহলে সর্বক্ষেত্রে কোনোদিনই বাংলা চালু করা সম্ভবপর হবে না।’
তিনি আরো বলেন, ব্যবহারের মধ্যে দিয়েই বাংলা ভাষার উন্নয়ন হবে। কেননা ভাষা সব সময় মুক্ত পরিবেশে বিস্তার লাভ করে।
স্বাধীনতার মহান স্থপতি বলেন, ‘ভাষার গতি নদীর স্রােতধারার মতো। ভাষা নিজেই তার গতিপথ রচনা করে নেয়। কেউ এর গতি রোধ করতে পারে না।’
এছাড়াও তিনি লেখক, কবি এবং নাট্যকারদের মুক্তমনে লেখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বাংলা ভাষাকে গণমুখি ভাষা হিসেবে গড়ে তুলুন। জনগণের জন্যই সাহিত্য। এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিজেদের লেখনির মধ্যে নির্ভয়ে এগিয়ে আসুন। দুঃখী মানুষের সংগ্রাম নিয়ে সাহিত্য সৃষ্টি করুন।’
তিনি বলেন, আমাদের প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ডে বাংলা ভাষার ব্যবহারের মধ্যে দিয়েই দেশের সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু হবে।
তথ্যসূত্র: বাসস