শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে যে সংকট দেখা দিয়েছিল, সেটির অবসান অবশেষে হয়েছে গতকাল সকালে। মধ্যস্থতায় এসেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (এসিএ)। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে আবারও সামনে যাত্রা শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট। এই মাসে স্মিথদের বাংলাদেশ সফর নিয়ে সংশয়ের মেঘ জমেছিল, সেটিও কেটে গেছে।
কিন্তু কীভাবে হয়েছে এই সমাধান? কয়েক মাস ধরেই আর্থিক দাবি নিয়ে সিএর সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে এসিএ। ১ জুলাই থেকে বেকার হয়ে পড়েন অস্ট্রেলিয়ার ২৩০ জনের বেশি ক্রিকেটার। দাবি মেনে না নিলে গত সপ্তাহে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড মধ্যস্থতাকারী নিয়োগের প্রস্তাব দেন। মধ্যস্থতাকারী হবেন দুপক্ষের পছন্দ করা কোনো ব্যক্তি। মূলত এই প্রস্তাব সহায়তা করেছে দ্বন্দ্বের অবসানে।
গত মঙ্গলবার বৈঠকে বসে দুই পক্ষ। আলোচনায় মূল বিষয়গুলোর অধিকাংশ সমাধান হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ঘোষণা আসেনি দুই পক্ষ থেকে। তবে ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সমাধান আসতে পারে বলে জানিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া দলের সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। হয়েছেও তা-ই। গতকাল স্থানীয় সময় সকালে মৌলিক বিষয়ে একমত হয়ে উভয় পক্ষ চুক্তিতে সই করে। এসিএর প্রধান নির্বাহী অ্যালিস্টার নিকোলসনের সঙ্গে সিএর প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড সমঝোতার বিষয়টি ঘোষণা দেবেন বলে জানানো হয়। স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে চারটায় মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিসি) এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে সমঝোতার ঘোষণা দেওয়া হয়। নতুন চুক্তিতে কিছু নতুনত্ব থাকলেও আগের বেতনকাঠামোই অপরিবর্তিত থাকছে।
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে গতকাল সকাল থেকে স্বস্তির সুবাতাস বইতে শুরু করলেও এই চুক্তির প্রভাব নিয়ে দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের ক্রীড়া সম্পাদক গ্রেগ বাম একটি প্রতিবেদন লিখেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, প্রথম থেকেই এ সমস্যার মূলে ছিল শুধু রাজস্বের অংশ ভাগাভাগি করার বিষয়টি। সমস্যার সমাধানে দুই পক্ষই ভাবছে তারা জিতেছে। আগের বেতনকাঠামো অপরিবর্তিত থাকায় খুশি এসিএ আর সিএ খুশি নতুনত্ব থাকছে বলে। কিন্তু সত্য এটাই যে দুই পক্ষই পরাজয়ী।
বাম তাঁর লেখায় আরও জানিয়েছেন, ক্রিকেটে বোর্ডের সঙ্গে খেলোয়াড়দের দ্বন্দ্বের ঘটনা নতুন নয়। অতীতে বিভিন্ন বিষয়ে জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে খেলোয়াড়দের দ্বন্দ্ব দেখা গেছে। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের এই সংকট ভবিষ্যতেও তাদের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যে প্রভাব ফেলবে না, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।-প্রথম আলো অনলাইন