রাকসু অচল থাকলেও সচল ছিলো ফান্ডের অর্থ ব্যয়

আপডেট: অক্টোবর ১১, ২০২৪, ৯:০২ অপরাহ্ণ

রাবি প্রতিবেদক


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) প্রায় ৩৪ বছর ধরে অচল অবস্থায় রয়েছে। সর্বশেষ রাকসু নির্বাচন হয়েছিল ১৯৮৯-৯০ শিক্ষাবর্ষে। রাকসু দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাকসু খাতে নিয়মিতভাবে শিক্ষার্থীদের থেকে চাঁদা সংগ্রহ করছেন। সেখান থেকে গত ৫ বছরে ১৩ লক্ষাধিক টাকা খরচও করেছে তারা।



বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আন্তঃহল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিযোগিতার অন্তর্ভুক্ত ছিল এ্যাথলেটিক্স, হ্যান্ডবল, এবং ভলিবল টুর্নামেন্ট; যেখানে ছাত্র-ছাত্রী উভয়ই অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই ক্রীড়া আয়োজনে রাকসু ফান্ড থেকে ১৩ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫৮৮ টাকা ব্যয় করা হয়।

রাকসুতে বর্তমানে সিরাজুল ইসলাম নামে একজন কর্মচারী আছেন। তিনি জানান, যে সকল খাতে রাকসুর ফান্ড থেকে টাকা খরচ করা হয়, তার ভাউচার সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো জাফর সাদিকের কাছে আছে। আগেও বিভিন্ন সময় এই ফান্ড থেকে টাকা খরচ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়ার সময় শিক্ষার্থীর বিভিন্ন ফি প্রদান করে। এর মধ্যে রয়েছে ইন্টারনেট ফি, সাংস্কৃতিক ফি, ছাত্র সংসদ ফি, হল সংসদ ফি, খেলাধুলা ফি, ক্রীড়া পরিষদ ফি ইত্যাদি। এর মধ্যে ছাত্র সংসদ ফি বাবদ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর থেকে প্রতিবছর ১৫ টাকা করে নেওয়া হয়। ক্রীড়া পরিষদ ফি বাবদ ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের থেকে ৫০০ টাকা, ৩য় ও ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের থেকে ২০০ টাকা নেওয়া হয়। অন্যদিকে খেলাধুলা ফি বাবদ ২য় বর্ষ থেকে বাৎসরিক ১০০ টাকা এবং ৩য় ও ৪র্থ বর্ষ থেকে ৫০ টাকা করে নেওয়া হয়। এছাড়া হলের খেলাধুলা ফি বাবদ সকল বর্ষের আবাসিক ও অনাবাসিক প্রত্যেক শিক্ষার্থীর থেকে বাৎসরিক ৩০ টাকা করে নেওয়া হয়।

ক্রীড়া ও খেলাধুলা বাবদ আলাদা ফান্ড থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক উপাচার্য রাকসুর সভাপতি হিসেবে ফান্ডের অর্থ ব্যয় করার অনুমোদন দিয়েছিলেন।

রাকসুর অর্থ ভিন্ন খাতে ব্যয় করা যায় কিনা জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব জানান, রাকসুর ফান্ড থেকে অন্য কোনো খাতে অর্থ ব্যয় করা যায় কি না, সেটা তিনি জানেন না। পরবর্তীতে রাকসুর কোষাধ্যক্ষের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে জানান। রাকসুর নবনিযুক্ত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেতাউর রহমানকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আমার বসার অফিস নেই, রাকসু ফান্ডের পলিসি এখনো আমার অজানা। এবিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে পরে জানাতে পারবো।

Exit mobile version