সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যে জিএসপি সুবিধা বন্ধ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট। তবে কী কারণে এটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে তা খুঁজে বের করা হচ্ছে। নতুন সরকার দায়িত্বভার নেওয়ার পরই এর সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
গতকাল রোববার বিকালে সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে বাংলাদেশে জিএসপি সুবিধা বন্ধ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল বাণিজ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে বার্নিকাট এসব কথা বলেন।
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকার দায়িত্বভার নিলে আমরা জিএসপি সুবিধা পাবো বলে আশা করছি। যদিও এই সুবিধা পেলে বাংলাদেশ খুব বেশি লাভবান হবে তা নয়, তবে এটি সম্মানজনক।’
তোফায়েল আরও বলেন, ‘মার্কিন সরকার পরিবর্তন হলেও নীতির পরিবর্তন হবে না। যদিও নতুন সরকার এলে সেই সরকারের নীতি কেমন হবে এ নিয়ে চাপ থাকে। কিন্তু আমরা আশাকরি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আগের তুলনায় ব্যবসা ভাল হবে। বাংলাদেশ এখন প্রতি বছর দুই বিলিয়ন মূল্যের পণ্য রফতানি করে আশকরি এর পরিমাণ বাড়বে।’
টিকফা বৈঠক বিষয়ে বার্নিকাট বলেন, ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য টিকফা বৈঠক হচ্ছে না। আগামী বছর মার্চ/এপ্রিলে সুবিধাজনক সময়ে হবে। কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, এই সময় নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণে ব্যস্ত থাকবেন। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) মন্ত্রী পদমর্যাদার। প্রেসিডেন্ট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ইউএসটিআর-এরও পরির্বতন হয়। নতুন ইউএসটিআর নির্বাচিত হওয়ার পর মার্চ/এপ্রিলের দিকে টিকফা বৈঠক হবে।
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যে চেতনা নিয়ে টিকফা গঠিত হয়েছিল সেই চেতনায় টিকফা এগিয়ে যাবে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে আমরা জানিয়েছি, বাংলাদেশে শ্রমিকদের অধিকার শতভাগ সুরক্ষিত যা বাংলাদেশের সংবিধানে সংযুক্ত।-বাংলা ট্রিবিউন