নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করায় ১৫৮ জন বেসামরিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযানে নামছে যৌথবাহিনী। অভিযানে রাজশাহী জেলা পুলিশের খোঁয়া যাওয়া গুলি ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ৯৮ টি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারে কাজ করবে যৌথবাহিনী।মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলার আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানিয়েছেন রাজশাহী পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান।
এসময় তিনি বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২ টার পর থেকে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে যৌথবাহিনী অভিযানে নামবে। বিভিন্ন সময় বেসমরিক অনেক ব্যক্তি লাইসেন্সভুক্ত হিসেবে অস্ত্র নিয়েছেন। সে অস্ত্র পুলিশের কাছে জমা দিতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তর নির্দেশনা দিয়েছিলেন। একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু সে সময়ের মধ্যে এখনো অনেকে অস্ত্র জমা দেন নি। ১৫৮ টি অস্ত্র এখনো বেসমরিক নাগরিকের হাতে আছে। যারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে এখনো নিজেদের কাছে অস্ত্র রেখেছেন এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযানে রাজশাহী জেলা পুলিশের খোঁয়া যাওয়া গুলি ও আরএমপির অস্ত্র উদ্ধারে তৎপরতা থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহীর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের পর দীর্ঘ সময় পুলিশ কাজ করতে পারে নি। আমি রাজশাহীতে যোগদানের পর পুলিশ সদস্যদের আশ^স্ত করেছি। জেলার প্রতিটি থানায় এখন সকল কার্যক্রম চালু হয়েছে। আর যেসব পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে চারটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলি করা হয়েছে। আমরা জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণে জনগণের জন্য কাজ করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহীতে অপরাধী ও মদকব্যবসায়ী চক্র যতই শক্তিশালী হোক না কেন? তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। একই সঙ্গে কোন মামলায় যেন নিরীহ কোন ব্যক্তি হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে নজর দিয়েও কাজ করছি।
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহীর জেলা পুলিশের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।