শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীতে ২০২৩ সালে ১৭১ জন নারী ও শিশু বিভিন্ন ভাবে নির্যাতিত হয়েছেন। এরমধ্যে ৫৭ জন শিশু, ১১৪ জন নারী। রোববার (৩১ ডিনেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে রাজশাহীর এনজিও উন্নয়ন সংস্থা লেডিস অর্গানাইজেশন ফর সোসাল ওয়েলফেয়ার (লফস) এ তথ্য জানায়। লফস জেলায় দীর্ঘদিন যাবৎ নারী ও শিশুর উন্নয়নে কাজ করছে।
লফস জানায়, জেলায় ১৬টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ৩২টি আত্মহত্যা ছাড়াও আত্মহত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে ১০টি। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২৩ জন নারী ও শিশু। এছাড়া একজন গণধর্ষণের শিকার হয়। একজন অপহরণের চেষ্টার শিকার হলেও ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছেন ৯ জন। যৌন নির্যাতনের শিকার ৭ জন, একজন শ্রীলতাহানির শিকার। ৬২ জন নির্যাতনের শিকার, পর্নোগ্রাফি, বলাৎকার ও ইভটিজিং ৪ জন। নিখোঁজ ও অপহরণের শিকার হয়েছেন ৬ জন নারী ও শিশু। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
লফস এর নির্বাহী পরিচালক শাহানাজ পারভীন বলেন, অত্র অঞ্চলে পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী নারী ও শিশু নির্যাতন পরিস্থিতি বিভিন্ন মাত্রায় অবনতি ঘটছে। যৌতুক ও পরকীয়ার কারনে অধিকাংশ নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। অনেক ক্ষেত্রে বিদেশি কিছু টিভি সিরিয়াল পরকিয়াকে উৎসাহিত করছে। এছাড়া পারিবারিক কলহ ও প্রেম ঘটিত কারনে হত্যা-আত্মহত্যা ও অমানবিক নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটছে। কিশোর গ্যাং এর মাধ্যমে নারী ঘটিত ঘটনা বৃত্তি পাচ্ছে যা পরিস্থিতি খারাপ করছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রকাশিত তথ্যতে হতাশ কারণ বাস্তবে এই পরিসংখ্যান আরও বেশি হবে। লফস সকল নারী-শিশু নির্যাতন ঘটনাগুলোর সুষ্ঠ তদন্ত স্বাপেক্ষে অপরাধীর কঠোর শাস্তির দাবী জানায় এবং নারী-শিশু নির্যাতন বন্ধে রাজনৈতিক ভাবে একমত পোষণ করে নারী-শিশু নির্যাতনকারীকে সামাজিকভাবে বয়কট করার আহবান জানান তিনি।