রাজশাহীতে গভীর রাতে চারটি ভোটকেন্দ্রে আগুন

আপডেট: জানুয়ারি ৫, ২০২৪, ৪:২৯ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :


রাজশাহীর তিনটি উপজেলার চারটি ভোটকেন্দ্রে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া একটি ভোটকেন্দ্র থেকে দুটি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দিনগত রাতে এই আগুনের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে বাঘা উপজেলায় দুটি ভোটকেন্দ্র, মোহনপুরে একটি ও বাগমারার একটি। তবে বাগমারার ওই ভোটকেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
স্কুল ৪টি হলো- বাঘা উপজেলার জুতনশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আড়ানী ঝিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহনপুরের মতিহার উচ্চ বিদ্যালয় এবং বাগমারার আক্কেলপুর উচ্চ বিদ্যালয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল হক। তিনি জানান, বাঘার দুটি মোহনপুর ও বাগমারার একটি করে ভোটকেন্দ্রে আগুন দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। পরে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাঘার ঝিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুরাদ আলী বলেন, বিদ্যালয়টি স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রটি পরিষ্কার করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে অফিস কক্ষের ১৫ টি চেয়ার, টেবিল, আলমারিসহ আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। তবে ধারণা করছি অফিসের পেছনের জানালার ফাঁক দিয়ে কোন দুষ্কৃতকারীরা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। বিষয়টি থানায় অবগত করা হয়েছে। এছাড়াও বাঘার জুতনশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত একটি কক্ষে আগুন দেওয়া হয়েছে।

বাগমারার গনিপুর ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্র হিসেবে নির্ধারিত একটি বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে জানালার কাচ ভেঙে কক্ষের কিছু আসবাব ও বইপত্র পুড়ে গেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন বলেন, রাত দুইটার পর ঘটনাটি ঘটেছে। বিকট শব্দ ককটেল বিষ্ফোরণ হয়েছে। শুনে লোকজন ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় বিদ্যালয়ের ফটকে দুটি ককটেলজাতীয় বস্তু ফেলে যায়। স্থানীয়রা জাতীয় জরুরি সেবায় কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ সেখান থেকে দুর্বৃত্তের ফেলে যাওয়া একটি মানিব্যাগ উদ্ধার করে এবং ককটেলসদৃশ বস্তু দুইটি ঘিরে রাখে।

বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, বিদ্যালয়ের জানালার কাচ ভেঙে গেছে। আইপিএসের ব্যাটারির ক্ষতি হয় এবং বইপুস্তক পুড়ে যায়। বিদ্যালয়ের ফটক থেকে উদ্ধার করা ককটেলসদৃশ বস্তু দুটি নিষ্ক্রিয় করার জন্য বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল হক বলেন, এই ঘটনাগুলোর তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কোন স্কুলে কিভাবে আগুন লেগেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর যারা ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়েছে তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ