রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজশাহীতে এ বছর জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা ৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সর্বোচ্চ দুই হাজার ৬৪০ টাকা পর্যন্ত ফিতরা দেয়া যাবে। জেলা ফিতরা নির্ধারণ কমিটি নির্ধারণ করে এই টাকা। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজশাহী জামেয়া ইসলামিয়া শাহ মখদুম (রহ.) মাদ্রাসায় ওলামায়ে কেরামদের বৈঠকে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়।
জেলা ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাওলানা শেখ তৈয়বুর রহমান নিজামীর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মাদ্রাসা, মসজিদের অর্ধশতাধিক ইমাম, মুফতি, মুহাদ্দিস ও ওলামায়ে কেরামরা।
বৈঠকে দ্রব্য-মূল্যের হালনাগাদ বাজারদর পর্যালোচনা করে রাজশাহী অঞ্চলের জন্য ফিতরা নির্ধারণ করা হয় সর্বনিম্ন ৯৫ টাকা ও সর্বোচ্চ দুই হাজার ৬৪০ টাকা।
বাজার সরেজমিন পরিদর্শন করে গমের আটা ৫৭ টাকা কেজি দরে ১.৬৫০ গ্রাম হিসাবে ৯৪.০৫ বা ৯৫ টাকা, মধ্যম মানের খেজুর ৬০০ টাকা কেজি দরে ৩.৩০০ গ্রাম হিসেবে এক হাজার ৯৮০ টাকা, যব ৭০ টাকা কেজি দরে ৩.৩০০ গ্রাম হিসেবে ২৩১ টাকা, কিশমিশ ৫৪০ টাকা কেজি দরে ৩.৩০০ গ্রাম হিসেবে এক হাজার ৭৮২ টাকা, পনির ৮০০ টাকা কেজি দরে ৩.৩০০ গ্রাম হিসাবে দুই হাজর ৬৪০ টাকা ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া চলতি বছর রমজানে জাকাতের নেসাব নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করা হয়। শেষে পুরোনো রুপার প্রতি ভরি ১ হাজার ২০০ টাকা দরে জাকাতের নেসাব নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩ হাজার টাকা (৫২.৫০ ভরি)। বৈঠকে সর্বনিম্ন হারে ফিতরা না দিয়ে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী এসব পণ্যের যে কোনো একটির মূল্য দ্বারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় করার আহŸান জানানো হয়।