রাজশাহীতে জমেনি ছাগলের হাট

আপডেট: জুন ৮, ২০২৪, ১১:২২ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:


কোরবানি উপলক্ষে রাজশাহীর পশু হাটগুলো জমতে শুরু করেছে। শুরুর দিকে গরুর হাট বসলেও এক সপ্তা আগে থেকে বসতে শুরু করে ছাগলের হাট। রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর হাটে মঙ্গলবার (৮ জুন) বসে ছাগলের হাট। এই হাটে কোরবানির উপযুক্ত বিভিন্ন দামের ছাগল কেনা বেচা হয়েছে। তবে বিক্রেতারা বলছেন, দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। গত বছরের মতোই দাম এবরাও। তবে ক্রেতারা বলছেন, তুলনামূলক বেশি দাম চাচ্ছে বিক্রেতরা।

জানা গেছে, শনি ও মঙ্গলবার বাসে বানেশ্বর হাট। এই হাটে পৃথক পৃথক জায়গায় বসে গরু ও ছাগলের হাট। ছাগলের হাটটিতে সাপ্তাহিক হাটের চেয়ে শনিবার বেশি ছাগল উঠেছিল। কোরবানির হাতে বেশি দিন থাকায় হাটটিতে ছাগলের আমদানি ভালো ছিল। অনেকেই সাধ্যের মধ্যে কিনেছেন পছন্দের কোরবানির ছাগল। মূলত এই হাটে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ছাগল বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হয়। এই ছাগলগুলো খামার বা ব্যক্তি উদ্যোগে বাড়িতে লালন পালন করা। হাটে আকার ভেদে ১৮ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাঁকানো হচ্ছে ছাগলের দাম।

চারঘাটের মুংলি এলাকা থেকে বাড়িতে লালন পালন করা তিনটা ছাগল বিক্রেতার জন্য নিয়ে এসেছেন সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ছাগল বাড়িতে লালন পালন করে কোন লাভ নেই। ছাগলের খাবারের দাম বেশি। সারা বছর বাড়িতে খাওয়ানোর পরে বিক্রি করে একসাথে টাকাগুলো পাওয়া যায়; এটাই লাভ। অনেক সময় ছাগল বিক্রি করে অনেকেই কোরবানির গরুর ভাগ দেয়। এছাড়া ছাগল বাড়িতে লালন পালন করা এক ধরনের ভালোলাগা। দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছাগলের দাম তেমন নেই। সব স্থানীয় পাটি। তারা ছাগলের তেমন দাম দিতে চাই না। ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা হাটে নামলে ছাগলের ভালো দাম পাওয়া যায়।

হারিয়ানের নলকলা এলাকার রঞ্জু ইসলাম হাটে দুইটা ছাগল হাটে নিয়ে একটি বিক্রি করেছেন ২৮ হাজার টাকায়। অপরটি রঞ্জু ৩০ হাজার টাকা চাইলেও দাম উঠেছিল ২৬ হাজার টাকা। দামে কিছু কমের কারণে বিক্রি করেননি তিনি। রঞ্জু ইসলাম বলেন, গরু লালন পালন করলে সবকিছু খাই। কিন্তু ছাগল ভালো ভালো খাবার ছাড়া খাইনা। ছাগলকে কাঁঠালের পাতা, বুটের (ছোলা) আটা, গমের কুড়া (ভুষি) অ্যাঙ্কার ডালের ভুষি খেতে দিতে হয়। এইসব খাবারের ৪০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দের বিক্রি হয়।

ছাগল ক্রেতা সমশের আলী বলেন, হাটে ছাগলের দাম বেশি মনে হচ্ছে। মূলত হাট ঘুরতে এসেছি। যদি দামে হয় তাহলে কিনে নেবেন তিনি। এটা ছাগলের ২০ কেজি মাংস হবে তার দাম চাওয়া হচ্ছে ২৫ হাজার টাকা। ১৭ হাজার টাকা দাম বলেছেন তিনি। কিন্তু ছাগলের মালিক সর্বশেষ চাচ্ছেন ২৩ হাজার টাকা। তাই হলো না ছাগল। হাতে কম বেশি এক সপ্তা সময় আছে। তাই অতো তারাহুড়া নেই। এরপরে নওহাটা, কটাখালী, কাকনহাট রয়েছে। সেই হাটগুলোতে গেলে ছাগল কেনা যাবে।

তুহিন আলী নামের এক ছাগল ক্রেতা বলেন, ২১ হাজার ৫০০ টাকায় তিনি একটা ছাগল কিনেছেন। তার দাবি তুলনামূলক হাটে ছাগলের দাম একটু বেশি। তারপরেও সব কিছুর দাম বৃদ্ধিার বাজারে তিনি ছাগল কিনে জিতেছেন বলে জানান।

হাটের ইজারাদার জানান, হাটের ছাগলের পর্যাপ্ত সরবরহ রয়েছে। তবে কেনা বেচা কম। যেহেতু কোরবানি ইদের এখনও এক সপ্তার মতো সময় রয়েছে। তাই অনেকেই হাটে ছাগল বিক্রির জন্য নিয়ে আসেনি। ধারণা করা হচ্ছে আগামি মঙ্গলবার হাটে প্রচুর ছাগল উঠবে হাটে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ