নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীতে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর পরিবেশে পালিত হয়েছে পবিত্র আশুরা। হিজরি বর্ষের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখ এ দিনটি মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ। কারবালার প্রান্তরে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.) ও তাঁর পরিবার-পরিজনের শাহাদাত স্মরণে এ দিনটি পালন করা হয়।
রোববার (৬ জুলাই) নগরীর বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয় শোক র্যালি, আলোচনা সভা, মোনাজাত ও ইবাদত-বন্দেগির। এছাড়াও বের হয়েছে তাজিয়া মিছিলও। এদিন সকাল ৯টায় নগরীর রেলগেট এলাকা থেকে আশুরা উদযাপন কমিটি মাওলা ইমাম হুসাইনসহ (আ.) শহীদের শোকের স্মরণে র্যালি বের করে। যাতে অংশ নেন শত শত মুসল্লি। এছাড়াও শিরোইল কলোনী থেকে দরবারে মা খাতুনে জান্নাত (র.) তরিকায়ে নকশাবন্দীর শোক র্যালি বের করা হয়।
পরে সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর উপশহর এলাকার শিয়া মসজিদ থেকে শিয়া সম্প্রদায়ের আয়োজনে আরও একটি শোক র্যালি বের হয়। র্যালিটি নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত র্যালিগুলোতে কারবালার আত্মত্যাগ ও ইসলামের শান্তিপূর্ণ বার্তা তুলে ধরা হয়।
আয়োজকরা বলেন, হজরত ইমাম হোসেন (রা.)-এর আত্মত্যাগ ছিল অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক। আশুরা আমাদের সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার প্রেরণা দেয়।
রোববার সকালে বিশ্ববাংলা ফাউন্ডেশন রাজশাহীর উদ্যোগে তাজিয়া মিছিল, আলোচনা ও তবারক বিতরণ করা হয়েছে। তাজিয়া মিছিলে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববাংলা ফাউন্ডেশন রাজশাহী সভাপতি ড.শাহ সৈয়দ হাসিব উল হাসান রাজা, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর অধ্যাপক আব্দুস সামাদ, আল-জামিয়াতুল আল আরাবিয়্যাহ রাজশাহী সমন্বয়ক হাফেজ মো. নুরুজ্জামান, বিশ্ববাংলা ফাউন্ডেশন রাজশাহী সাধারণ সম্পাদক মো. সাদেক আলী, ফাউন্ডেশনের দফতর সম্পাদক কামাল উদ্দিন, ফাউন্ডেশনের অর্থ সম্পাদক মো. খয়বুর আলী।
পদযাত্রা শেষে আলোচনায় বক্তাগণ আশুরার তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং কারবালার প্রান্তরে ৭২ জন শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।