মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
‘পরিবার সৃষ্টিকর্তার উপহার’ মূল সুরকে সামনে রেখে গতকাল শুক্রবার কারিতাস রাজশাহী আঞ্চলিক অফিসে উদ্যাপন করা হয়েছে ‘কারিতাস পরিবার দিবস ২০১৭’। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কারিতাস বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ জের্ভাস রোজারিও, এসটিডি, ডিডি, রাজশাহী কাথলিক ধর্মপ্রদেশ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন. মি. ডেনিস সি. বাস্কে আঞ্চলিক পরিচালক, কারিতাস রাজশাহী অঞ্চল। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কারিতাস বাংলাদেশের সাধারণ ও কার্যকরি পরিষদের সদস্য রেভা. ফাদার পল গমেজ এবং ভিকার জেনারেল, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশ; কারিতাস রাজশাহী অঞ্চলের চ্যাপ্লেইন ও রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের চ্যান্সেলর রেভা. ফাদার উইলিয়াম মুরমু প্রমুখ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, কারিতাস রাজশাহী অঞ্চলের আওতাভুক্ত কারিতাস বাংলাদেশের সাধারণ ও কার্যকরি পরিষদ সদস্য, আঞ্চলিক পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন কমিটির সদস্য-সদস্যা এবং এ অঞ্চলের সকল প্রাক্তন ও বর্তমান কর্মী/কর্মকর্তাগণ এবং তাদের পরিবারের সকল সদস্য-সদস্যাসহ সহ¯্রাধিক মানুষ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কারিতাস বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও বিশপ জের্ভাস রোজারিও বলেন, কারিতাসে যারা কাজ করে তাদেরকে আদর্শ পরিবারের দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে হবে যেন অন্যরা দেখে বুঝতে পারে যে, কারিতাসের কর্মীদের পরিবারে শান্তি রয়েছে। পবিত্র পরিবার গড়ে তোলার জন্য স্বামী-স্ত্রীর পবিত্র, প্রেমপূর্ণ, শ্রদ্ধাপূর্ণ ও ভালবাসাপূর্ণ সম্পর্কের গুরুত্ব অনেক।
কারিতাস রাজশাহী অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক এবং অনুষ্ঠানের সভাপতি মি. ডেনিস সি. বাস্কে বলেন, এ দিবস উদ্যাপনের উদ্দেশ্য হলো, ‘সকল কর্মী ও তাঁর পরিবার যেন একত্রিত হয়ে পরস্পর পরস্পরকে জানতে পারে, বিভিন্ন দিক সহভাগিতা করতে পারে, একসাথে কাজ করতে পারে এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে।’
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, কারিতাস রাজশাহী অঞ্চলের চ্যাপ্লেইন রেভা. ফাদার উইলিয়াম মুরমু, কারিতাস বাংলাদেশের সাধারণ ও কার্যকরি পরিষদ সদস্য রেভা. ফাদার পল গমেজ এবং কারিতাসের প্রাক্তন ও বর্তমানের বিভিন্ন স্তরের কর্মী/কর্মকর্তা। সকলেই সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের অনুষ্ঠান যেন ভবিষ্যতেও চলমান থাকে।
উল্লেখ্য অনুষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল, ‘কর্মীদের মধ্যে লং সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান, লাফক কুপন ড্র, প্রাক্তন কর্মী/কর্মকর্তাদের শুভেচ্ছা বাণী সহভাগিতা এবং বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকা- প্রভৃতি। সাংস্কৃতিক কর্মকা-ের মধ্যে ছিল গম্ভীরা, আদিবাসী নৃত্য, শিশু নৃত্য, ছড়া, আবৃত্তি, গান ও কৌতুক ইত্যাদি।