রাজশাহীতে মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি

আপডেট: ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩, ৭:৩৬ অপরাহ্ণ

তথ্যবিবরণী:


১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাব-গাম্ভীর্যের সঙ্গে উদ্যাপনের লক্ষ্যে রাজশাহী জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জেলা পুলিশ লাইন্সে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হবে।

সকাল সাড়ে সাত’টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হবে। নয়’টায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে বিভাগীয় কমিশনার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজের মাধ্যমে অভিবাদন গ্রহণ করবেন। বেলা এগারো’টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং বিজয় দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

বিকাল সাড়ে তিন’টায় রিভারভিউ কালেক্টরেট স্কুল মাঠে মহিলাদের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল চার’টায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন বনাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।সন্ধ্যা ছয়’টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পার্ক, যাদুঘরবিনা টিকেটে শিশুদের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।

সুবিধামতো সময়ে, সিনেমা হল ও উন্মুক্ত স্থানে চলচিত্র প্রদর্শনী ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র বিনা টিকেটে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রদর্শন করা হবে।হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশুসদন, শিশু একাডেমি, বৃদ্ধাশ্রম, ছোট মনিনিবাস; অন্ধ, মূক ও বধির বিদ্যালয়, সেফ হোম, এসওএস, শিশুপল্লী, শিশু বিকাশ কেন্দ্র ও বেসরকারি এতিম খানায় এদিন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করবেন।

বাদ জোহর মসজিদে ও অন্যান্য উপাসনালয়ে সুবিধা মতো সময়ে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য এবং দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।

সুবিধামতো সময়ে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির রাজশাহী কার্যালয়ে চিত্রাঙ্কন, রচনা ও আবৃতি প্রতিযোগিতাসহসাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর (উভয়দিন) সন্ধ্যায় শহরের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধা-সরকারি ,স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবনসমূহে আলোকসজ্জা করা হবে।
১৬ ডিসেম্বর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক, সড়কদ্বীপ এবং বিভিন্ন স্থাপনা জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন পতাকা দ্বারা সজ্জিত থাকবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ