মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথগ্রহণের ঘটনাকে স্মরণ করে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বুধবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরীর সঞ্চালনায় দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন- পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুর রহমান, সোনার দেশ পত্রিকার সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত।
‘মুজিবনগর বাঙালি জাতির বীরত্বের প্রতীক’ উল্লেখ্য পূর্বক জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, ‘মুজিবনগর দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় দিন এবং মুজিবনগর বাঙালি জাতির বীরত্বের প্রতীক। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথগ্রহণ করে। পরে এ বৈদ্যনাথতলাকেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর নামকরণ করা হয়।’
আলোচনার শুরুতেই জেলা প্রশাসক- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা ও ৩০ লাখ শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, প্রথম সরকার মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানের ক্ষেত্রে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠা, দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করেছে এবং স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক মতামতকে সুসংহত করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। পরে এই বৈদ্যনাথতলাকেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর হিসেবে নামকরণ করা হয়। ফলে এই দিনটি ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস হিসেবে পালন করা হয়।