রাজশাহীতে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে জন্মাষ্টমী উদযাপিত

আপডেট: আগস্ট ২৬, ২০২৪, ৯:১১ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীতে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে জন্মাষ্টমী উদযাপিত হয়েছে। সেইলক্ষ্য সোমবার (২৬ আগস্ট) সকালে মহানগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টের কেন্দ্রীয় হনুমানজিউর মন্দিরের সামনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী।



উবাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট রাজশাহী মহানগরের আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবারো মন্দির প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। কর্মসূচিতে পুজার্চনা, গীতাপাঠ, প্রার্থনা, শোভাযাত্রা, আলোচনাসভা শেষে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

এসময় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট রাজশাহী মহানগরের সভাপতি অচিন্ত্য কুমার বিশ্বাস সান্টুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) সরকার অসীম কুমার।

সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার সাহা। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আনন্দ কুমার মন্ডল, মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত রায় ও রাজশাহী ইসকন এর অধ্যক্ষ রামেশ্বর গৌর দাস। এছাড়াও বিভিন্ন মন্দিরে পুরোহিত ও সনাতন ধর্মের নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাবের বিষয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী বলেন, প্রায় ৫ হাজার বছরেরও অনেক আগে পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়, নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়, তখন সেই অশুভ শক্তিকে দমন করে কল্যাণ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য অবতার হিসেবে শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটে। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের জন্য যুগে যুগে ভগবান মানুষের মধ্যে অবতীর্ণ হন এবং সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠা করেন।

ধর্মের নামে যেন কেউ কোন ধরনের সহিংসতা বা সাম্প্রদায়িক উসকানি সৃষ্টি না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখার আহবান জানিয়ে প্রধান অতিথি বলেন, কোন অশুভ শক্তি যেন মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর দিনে এ শিক্ষা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ