রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীতে সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৮ জুন) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন আইন প্রণয়নের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আইন বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি প্রকল্প এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিনিধি হিসেবে স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহীর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান।
এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্মসচিব ড. মো. জাকেরুল আবেদীন, আরএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) সাবিনা ইয়াসমিন।
লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সাহিনুর রহমানের সঞ্চালনায় সভার শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- আইন প্রণয়নের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আইন বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক (উপ-সচিব) মোহাম্মদ আবু কাউছার। এছাড়াও সাংবিধানিক ও আইনি অধিকার সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন- আইন প্রণয়নের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আইন বিষয়ে জনসচেতনত সৃষ্টি প্রকল্পের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন।
উন্মুক্ত আলোচনার সংক্ষিপ্তসার উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন। এছাড়াও মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন, সোনার দেশ পত্রিকার সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত।
এ সময় লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দসহ জেলার সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, সাংবাদিক, আইনজীবী, বিভিন্ন এনজিওর কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, সুধীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে আইনের কোনো কমতি নেই। কিন্তু আইন সম্পর্কে সচেতনতার অভাব প্রকট। এতে সঠিক আইনের অনুশীলন এবং প্রয়োগ আশানুরূপ নয়। অথচ আইনের যথাযথ অনুশীলন ও অনুসরণ হলে মানুষ সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার পাবে। সমাজ তাতে আলোকিত হবে।
রাষ্ট্র তাতে পূর্ণাঙ্গতা লাভ করবে।বিশেষ কারে চোখের দিকে তাকিয়ে কিংবা কারও ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষা করে ভালো আইন তৈরি করা যায় না। তাই যে-যাই বলুক, আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সবসময় দেশের জনগণের কথা চিন্তা করতে হবে এবং জনবান্ধব আইন প্রণয়ন করতে হবে। তাহলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও উদ্দেশ্য উভয়ই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
তিনি আরো বলেন, লেজিসলেটিভ কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতে দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি লেজিসলেটিভ ক্যাডার সার্ভিস গঠনের বিষয়েও কাজ করতে হবে। “লজ অব বাংলাদেশ’ লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের খুবই জনবান্ধব একটি কাজ। এর মাধ্যমে জনগণ মুহূর্তেই বাংলাদেশে প্রচলিত সকল আইন দেখে নিতে পারেন।
কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, অনেক আইন আছে, সেগুলো কার্যকরী নেই। তাই আইন সম্পর্কে সবার সচেতনতা প্রয়োজন সবার আগে।
তিনি বলেন, বিচারে কেন দীর্ঘসূত্রিতা হচ্ছে এর জন্য বিশেষ গবেষণা ও প্রকল্প নেয়া উচিত। একই সাথে আইন প্রণয়নের আগে অবশ্যই গবেষণা হওয়া উচিত নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকারগুলোতে নিশ্চিতে সকলকে সচেতন হতে হবে। সেই সাথে একযোগে কাজ করতে হবে। আইন সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে হবে এবং তা বাস্তবায়নে একে অপরকে সহযোগিতা করতে হবে। তবেই একটি সুন্দর বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব।