মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১ ভাদ্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভোর থেকেই মেঘলা আকাশ। কয়েকদিনের অব্যাহত ভ্যাপসা গরম থেকে মুক্তি দিলো স্বস্তির বৃষ্টি। বৃষ্টির পরে কমেছে ভ্যাপসা গরম। সেই সঙ্গে কমেছে তাপমাত্রাও। তবে আকাশে মেঘ থাকায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে, বৃষ্টিতে আম ও জমির ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না বলে জানিয়েছেন রাজশাহী কৃষি কর্মকর্তা।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজশাহীতে সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। চলে সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত। এসময় ১৮ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিপাতের সময়ে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮ ন্যাটিক্যাল মাইল।
অন্যদিকে, বৃষ্টিপাতের ফলে গত চার দিনের তুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমেছে ৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি। একই সময়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমেছে ৫ দশমিক ২ ডিগ্রি। এছাড়া বৃহস্পতিবার (৯ জুন) দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়স ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ৮ ডিগ্রি। সকালে বাতাসের আর্দ্রাতা ছিল ৯৪ শতাংশ।
বৃষ্টিপাতের কারণে সর্বোচ্চ ও সর্বনি¤œ তাপমাত্রা কমায় কমেছে ভ্যাপসা গরম। ফলে নগরজীবনে ফিরেছে কিছুটা স্বস্তি। দিনভর রোদ থাকলেও তীব্রতা ছিলনা।
অন্যদিকে, খুব সকালে বৃষ্টি শুরু হয়ে কর্মজীবনে কিছুটা বাগড়ার সৃষ্টি করে। তারপরেও অনেকেই বাড়ি থেকে ছাতা বা রেইনকোর্ট পড়ে বের হয়েছেন জীবিকার সন্ধানে। কেউ কেউ আবার বৃষ্টিতে ভিজেও গেছেন।
বৃষ্টির মধ্যে কাজে বের হয়েছেন হৃদয়। হৃদয় নগরীর সাহেব বাজারে কাঠের দোকানে কাজ করেন। হৃদয় জানান, সকাল সাড়ে নয়টা বাজে, তবুও বৃষ্টি থামেনি। তাই ছাতা মাথায় বের হয়েছি। সঙ্গে অতিরিক্ত কাপড়ও নিয়েছি।
আবহাওয়া অফিস আরো জানায়, গত সোমবার (৬ জুন) দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার (৭ জুন) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার (৮ জুন) দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন তপামাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ১ ডিগ্রি।
আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক আব্দুস সালাম জানান, বৃষ্টিপাতের কারণে তাপমাত্রা কমেছে। কমেছে ভ্যাপসা গরমও। আকাশে মেঘ রয়েছে রাতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন জানান, জমিতে পাট, ভুট্টা, ধান রয়েছে। বৃষ্টিতে এসব ফসলের ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। এছাড়া আমেও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।