মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
রাজশাহীর আশেপাশের বিভিন্ন স্থানে যথাযোগ্য মর্যাদা ও শ্রদ্ধায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল বুধবার র্যালি, আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে এ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করা হয়। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
বাগমারা : দিবসটি উপলক্ষে বাগমারা উপজেলা হলরুমে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছরিন আক্তারের সভাপতিত্বে ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর মস্তাফিজুর রহমানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলমগীর হোসেন, বাগমারা থানার ওসি সেলিম হোসেন, ভবানীগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ হাতেম আলী, ভবানীগঞ্জ সরকারী উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনসুর রহমান, শিশু ও শিল্পকলা একাডেমির অধ্যক্ষ আবদুল জলিল, সমবায় কর্মকর্তা সুলতানুল ইসলাম, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আহসান হাবীব ও বাগমারা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইউসুফ আলী সরকার প্রমুখ। বক্তারা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকবাহিনীর হাতে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা ও এদেশকে মেধাশূন্য করার ষড়যন্ত্রকারিদের ধিক্কার জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বাঘা : গতকাল বুধবার বিকেলে বাঘা শাহদৌলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এই বুদ্ধিজিবী দিবস পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আজিজুল আলম, বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল খালেক, আওয়ামীলগ নেতা নসিম উদ্দিন, আবু বাক্কার সিদ্দিক, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আজিযুল আযম, রফিকুল ইসলাম, শফিকুর রহমান শফিক। এছাড়া উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মোহনপুর : এ উপলক্ষে মোহনপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে অডিটরিয়ামে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলমগীর কবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ, উপজেলা কৃষি অফিসার মোশারফ হোসেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোখলেসুর রহমান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বুধবার সকালে এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের বড়ইন্দারা মোড় ক্যাম্পাসে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এবিএম রাশেদুল হাসান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সৈয়দ জাবিদ হোসেনের সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের প্রাক্কালে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদেরকে হত্যা করেছিল, কিন্তু তাদের সপ্নকে মুছে ফেলতে পারে নি। আমরা আমাদের কাজের মাধ্যমে শহীদদের বাঁচিয়ে রাখবো।
নাটোর : দিবসটি উপলক্ষে বুধবার সকালে নাটোর প্রেসক্লাবের উদ্যেগে একটি শোক র্যালি বের করা হয়। র্যাটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কানাইখালি মাঠ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে নাটোর প্রেসক্লাবের হলরুমে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন নাটোর প্রেসক্লাবের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা। এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন, নাটোর জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (রাজস্ব) মুনিরুজ্জামান, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক আজাদুর রহমান, নাটোর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দুলাল সরকারসহ অন্যরা। অপরদিকে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনার মধ্য দিয়ে এদিন সকালে শহরের কান্দিভিটার জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে দিবসটি পালন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুল, পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলিসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এছাড়াও এই প্রথম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভার। জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন স্থানীয় সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুল, পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী আতিয়ুর রহমান, স্থানীয় সরকার উপপরিচালক ড. একেএম আজাদুর রহমানসহ অন্যরা। সন্ধ্যায় ভিক্টোরিয়া পাবলিক লাইব্রেরির উদ্যোগে আয়োজন করা হয় মোমবাতি শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে গিয়ে মোমবাতি প্রজ্জ্বালন করা হয়। এসময় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের এইদিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দেশিয় দোসররা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বরেণ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের রাতের আঁধারে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। স্বাধীনতাবিরোধী চক্র পরাজয় অনিবার্য জেনে সেদিন এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী উপলব্ধি করেছিল, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীরা বেঁচে থাকলে যুদ্ধবিধ্বস্থ এই দেশ আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। তাই পরিকল্পিতভাবে জাতিকে মেধাহীন ও পঙ্গু করতে দেশের বরেণ্য সব ব্যক্তিদের রাতের অন্ধকারে পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করা হয়।
নওগাঁ : এদিন সকালে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সাংসদ আবদুল মালেক ও সাধারণ সম্পাদক সাংসদ সাধন চন্দ্র মজুমদারের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় ৪ নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি একিউএম ওয়াহেদুজ্জামান খান বাদশা, কাজী রেজাউল ইসলাম, নির্মল কৃঞ্চ সাহা, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম ইদুল, সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল আহম্মেদ বাদল, বিভাষ চন্দ্র মজুমদার গোপাল, প্রচার সম্পাদক দিলিপ চক্রবর্তী, উপপ্রচার সম্পাদক রনজিত সরকার, দফতর সম্পাদক আমিনুল করিম তরফদার সাবু, উপদফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ বকুল, অর্থসম্পাদক আবদুল খালেক, মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ীকা শানাজ মালেক, জেলা যুবলীগের আহবায়ক খোদাদাদ খান পিটু, সদর উপজেলা আওয়মী লীগের সভপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাববুবুল হক কমল, সাধারণ সম্পাদক জালাল হোসেন, পৌর আয়াশীলীগের সভাপতি দেওয়ান ছেকার আহম্মেদ শিষান সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী, সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাছিম আহম্মেদ নাছিম, সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক সুমন, যুবমহিলা লীগের সভাপতি নাতিশা আলম, সাধারণ সম্পাদক ফেন্সি চৌধুরী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রহমানিয়া আলম রেজভী, সাধারণ সম্পাদক বিমান কুমার রায় প্রমুখ। এছাড়াও পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক বিপিএম, পিপিএম এর নেতৃত্বে একটি বর্ণ্যাঢ্য র্যালি বের করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে শহীদ বুদ্ধিজীবিদের শ্রদ্ধায় পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন এবং তাদের প্রতি সন্মান প্রদর্শন করেন। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক, রাকিবুল আক্তার, নওগাঁ সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সামিউল হক, সদর মডেল থানার আফিসার ইনচার্জ তোরিকুল ইসলাম, ডিবি ইন্সপেক্টর (ওসি) জাকিরুল ইসলাম, ইন্সপেক্টর (ডিএসবি) মোসলেম উদ্দিন, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রেজাউল করিমসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।