বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী খড়খড়ি হাটের ইজারা বাতিল করেছে উপজেলা প্রশাসন। এর আগে গত ২৬ আগস্ট অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিল হাটের ব্যবসায়ীরা। তদন্ত শেষে হাটের ইজারা বাতিল করে উপজেলা প্রশাসন।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) পবা উপজেলা প্রশাসক ও নির্বাহী অফিসার আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত স্বাক্ষরিত এক নোটিশে ইজারা বাতিল করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, গেল বুধবার (২৮ আগস্ট) উপজেলা মাসিক সমন্বয় কমিটির সভায় হাটের অতিরিক্ত ইজারা আদায়ের অভিযোগে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। এই কমিটি সরেজমিনে তদন্ত ও মতামত গ্রহন করে। বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি। এরপর ইজারা বাতিল করে উপজেলা প্রশাসন।
নোটিশে আরও বলা হয়, অতিরিক্ত খাজনা আদায় করার বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় ইজারাদার মেহেদী হাসান মুন্টুর ইজারাকৃত বাংলা ১৪৩১ সনের খড়খড়ি হাটের ইজারার জমাকৃত টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এখন থেকে সরকারিভাবে খাস আদায়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইজারা না হওয়া পর্যন্ত খাস আদায় চলবে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য খড়খড়ি হাটের ইজারাদার মেহেদী হাসান মুন্টুর নম্বরে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তাই কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে তিনি এর আগে জানিয়েছিলেন এই হাট ৭০ লাখ টাকায় নিয়েছিলেন।
পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত জানান, হাটের ব্যবসায়ীরা আমাকে স্মারকলিপি দিয়েছিল। এরপর উপজেলা সভায় তদন্ত কমিটি করা হয়। সেই কমিটি অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের সত্যাতা পায়। এরপর ইজারা বাতিল করা হয়। এখন থেকে প্রতিনিধির মাধ্যমে খড়খড়ি হাটের ইজারা নেওয়া হবে।
এর আগে, রাজশাহী মহানগরীর উপকণ্ঠ খড়খড়ির ললিতাহার বাজারে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিক্ষোভ মিছিল ও গণস্বাক্ষর করেন ব্যবসায়ী। সেই গণস্বাক্ষর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। ইজারাদার জোরপূর্বক কয়েকগুন বেশি টাকা আদায়ের অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা। ১০ টাকা খাজনা নেওয়ার কথা থাকলেও তারা ৫০ নিচ্ছে। ৩০ টাকার খাজনায় ১০০ টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা।