রাজশাহীর পুঠিয়ায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ভূয়া সাংবাদিক কারাগারে

আপডেট: জানুয়ারি ৩১, ২০২৪, ৯:৫৮ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজশাহীর পুঠিয়ায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাই টিভির নাম ভাঙিয়ে দ্বিতীয় দফায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে এলাকাবাসীর হাতে আটক হয়েছে এক ভূয়া সাংবাদিক। পুলিশের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আটক ভূয়া সাংবাদিকের নাম বুলবুল খান। তার কাছ থেকে ভূয়া মাই টিভির আইডি কার্ড ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। বুলবুল সিরাজগঞ্জে হারবাল ওষুধের ব্যবসা করতেন। এর আগে তিনি দীর্ঘদিন পুঠিয়ায় থাকতেন বলে জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯ টার দিকে পুঠিয়া উপজেলার বিলমাড়িয়া আদিবাসী পল্লীতে চাঁদাবাজির করার সময় আটক করে পল্লীর লোকজন। এ ঘটনায় মাই টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি শাহরিয়ার অনতু পুঠিয়া থানায় গিয়ে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলা করেন। এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বুলবুলকে। তবে এই মামলায় বুলবুলের অপর এক সহযোগীকে আসামি করা হয়েছে। বর্তমানে সে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে নিশ্চিত করছেন পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুর রহমান।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, পুঠিয়ার বিলমাড়িয়া এলাকার আদিবাসী পল্লীতে তিন যুবক সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ঢুকে তাদের কয়েকজনকে ভয় ভীতি দেখিয়ে গত এক সপ্তাহ আগে টাকা নিয়ে যায়। মঙ্গলবার রাতে টাকা নেয়ার উদ্দেশ্যে আদিবাসী পল্লীতে ঢুকে তাদের অনেকের কাছে বিভিন্নভাবে টাকা দাবি করতে থাকে। পাশাপাশি আদিবাসীদের প্রলোভন দেখায় তাদেরকে দেশীয় চোলাই মদ বিক্রি করার লাইসেন্স করে দেবে বলে। পরে টাকাও দাবি করে তাদের কাছ থেকে। বিষয়টি সন্দেহ হলে স্থানীয় মেম্বারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানায় ভুক্তভোগী ওই পরিবারগুলো। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন এসে তাদের আটক করে জানতে চায় তারা কোথায় সাংবাদিকতা করে।

এ সময় দু’জন পালিয়ে গেলেও সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ গুনগাতি বাগান বাড়ি এলাকায় কফিল উদ্দিনের ছেলে ভূয়া সাংবাদিক বুলবুলকে আটক করে এলাকাবাসী। পরে পুলিশ এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায় সে মাই টিভির সাথে কোনোভাবেই জড়িত নয়।

মাই টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি শাহরিয়ার অনতু জানান, রাজশাহীতে আমি দীর্ঘ দিন থেকে মাই টিভির দায়িত্বে আছি। সে ব্যক্তি ভূয়া কার্ড বের করে দেখিয়েছে আর এলাকাবাসীর কাছে চাঁদা দাবি করেছে। তাই তাকে এলাকাবাসী ধরে পুলিশে দিয়েছে। আমি পুঠিয়া থানায় হাজির হয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছি। এ বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ