নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী অঞ্চলের তিন জেলায় পৃথক বজ্রপাতে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁয় তিনজন করে ও নাটোরে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৭ জুন) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জগণ মৃত্যুর বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিহতরা হলেন, শিবগঞ্জ পৌরসভার আলীডাঙ্গা গ্রামের সুভাষ বোকতের স্ত্রী ববি বোকত (৩৫), একই উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের মধ্যচর গ্রামের রাকিবুল ইসলামের মেয়ে কবিতা খাতুন (১১) এবং ভোলাহাট উপজেলার বড়গাছি এলাকার এসলাম আলীর মেয়ে আমেনা খাতুন (১০)।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, দুপুরের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টির সঙ্গে বিকট শব্দে বজ্রপাত হয়। এ সময় ববি বোকত বজ্রপাতে আহত হলে তাকে উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে শিবগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ পাঁকা ইসমাইল মাস্টারের পাড়ায় নিজ বাড়িতে গোসল করার সময় বজ্রপাতে কবিতা খাতুন মারা গেছে।
অপরদিকে, বাড়ির পাশে আমবাগানে আম কুড়াতে গেলে বজ্রপাতে আহত হয় আমেনা খাতুন। পরে আত্মীয়-স্বজনসহ স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শিবগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন এবং ভোলাহাট থানা পুলিশের ওসি সুমন কুমার জানান, বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপরদিকে, নওগাঁর নিহতরা হলো, মান্দা উপজেলার শামসুল আলম (৩৪) ভোলাম গ্রামের ফইমদ্দিন মন্ডলের ছেলে ও পত্নীতলা উপজেলার উপজেলার পাটিচড়া ইউনিয়নের নাগরগোলা গ্রামের বিশা মন্ডলের ছেলে খাদেমুল ইসলাম (৫০) ও গাহন গ্রামের আব্দুল হামিদের স্ত্রী মনিকা (৩৫)।
আহতরা হলেন, বদলগাছীর গাবনা গ্রামের অবির উদ্দিন ফকিরের ছেলে আবুল হোসেন ফকির (৫৫) ও আমিন আলী ফকিরের ছেলে আব্দুল খালেক ফকির (৩৫)। বিকেল ৩টার দিকে ববি তার বাড়ির সামনের একটি বাগানে আম কুড়াতে যান। এ সময় ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এছাড়া নাটোরের নলডাঙ্গায় বারনই নদীতে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে মো. কামরুল হোসেন (৩৫) নামের এক যুবক মারা গেছে। এ সময় মো. মজনু (৪০) নামের একজন আহত হন। দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার কোমরপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। কামরুল হোসেন উপজেলার কোমরপুর গ্রামের মো. লুৎফর রহমানের ছেলে। আহত মজনু একই গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে।
অপরদিকে, গুরুদাসপুরে বজ্রপাতে উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের সাদ্দাক আলীর স্ত্রী আবেরা বেগমের (৪০) মৃত্যু হয়েছে।
নলডাঙ্গা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনোয়ারুজ্জামান বলেন, দুপুরে নলডাঙ্গা উপজেলার ব্রহ্মপুর ইউনিয়নের পীরগাছা এলাকার পাশে বজ্রপাতে এক যুবকের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে।