রাজশাহী অঞ্চলে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো কর্মসূচি পালন

আপডেট: আগস্ট ৬, ২০১৭, ১:০০ পূর্বাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক


‘ভিটামিন এ খাওয়ান, শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমান’ স্লোগানকে সামনে রেখে রাজশাহী অঞ্চলে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
মোহনপুর : উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গতকাল শনিবার সকালে মাঠ পর্যায়ে মোহনপুর বাজার উপকেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাইয়ে ক্যাম্পেইনের উদ্ধোধন করেন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার নুর উর-রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডাক্তার সঞ্জিত কুমার সাহা, নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শুক্লা সরকার, পবা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবির, স্বাস্থ্য পরিবার পরিবকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার গৌতম কুমার পাল, মোহনপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ, ইপিআই টেকনিশিয়ান ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
নাটোর : শনিবার সকালে নাটোর সদর হাসপাতালে ক্যাম্পেইনের প্রথম রাউন্ডের উদ্ধোধন করেন নাটোরের জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন। এসময় নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরি জলি, জেলা সিভিল সার্জন ডা. আজিজুল ইসলাম, সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. আবুল কালাম আজাদসহ অন্যান্যেরা উপস্থিত ছিলেন। ক্যাম্পেইনের প্রথম রাউন্ডে এবারে জেলায় মোট দুই লাখ ৬১ হাজার ৬শ শিশুকে নীল এবং লাল রংয়ের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। জেলায় এক হাজার ৩৮৮টি কেন্দ্রে এ কার্যক্রম চলছে।
বাগাতিপাড়া : নাটোরের বাগাতিপাড়ায় মোট ১২৮ টি কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। ২৫৬ জন মাঠকর্মী ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সের ১৬ হাজার ২৫ জন শিশুদের এ ক্যাপসুল খাইয়ে দেন। বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকাল ৮টায় উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সেখ, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
সাপাহার : নওগাঁর সাপাহারে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুমিনুল হক এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অন্যানরা। জানা গেছে, ওয়ার্ড ভিত্তিক এ ভ্রাম্যমাণ জনগোষ্ঠীর জন্য এ উপজেলায় ১৪৮ টি কেন্দ্রে ১৪ হাজার ২৭৮ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল (নীল ও লাল) খাওয়ানো হবে। এ কাজে মোট ২৯৬ জন কর্মী সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত নিয়োজিত থাকবেন।
নিয়ামতপুর : নওগাঁর নিয়ামতপুরে গতকাল বেলা সাড়ে ১০টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রের নতুন ভবনে এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হয়। ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এনামুল হক। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুুর হান্নান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ারা বেগম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সালেহ মো. মাহফুজুল আলম, উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ। এবারে নিয়ামতপুরে উপজেলায় ২শ ৩টি কেন্দ্রে ৬মাস থেকে ১১ মাস পর্যন্ত ২ হাজার ৭শ শিশু এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস পর্যন্ত ২৭ হাজার সর্বমোট ২৯ হাজার ৭শ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।
দিনাজপুর : দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. মওলা বকস চৌধুরী জানান, সরকারের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গতকাল শনিবার এই জেলার ১৩টি উপজেলা ও ৯টি পৌরসভায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত স্থাপিত ভিটামিন এ খাওয়ানো ক্যাম্পগুলোতে বিরতীহীনভাবে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। একটি শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাইয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডেপুটি ডাইরেক্টর পার্ট-২ ডা. আহাদ আলী। আউলিয়াপুর ইউনিয়নে চেরাডাঙ্গী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইমদাদুুল হক, স্বাস্থ্য সহকারী পরিদর্শক দেলোয়ারা বেগম, স্বাস্থ্য সহকারী আহামুদা খানম প্রমুখ। দিনাজপুর জেলায় ৩ লাখ ২৬ হাজার ১৪০ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ৩৫ হাজার ২৮৬জন, ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়স বয়সী শিশুর সংখ্যা ২ লাখ ৯০ হাজার ৮৫৪ জন। স্থায়ী কেন্দ্র ১৮টি, অস্থায়ী কেন্দ্র ২ হাজার ৫৯৪টি, অতিরিক্ত কেন্দ্র (উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়) ১৪১টি। জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনকে সফল করতে স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ কর্মী (এইচএ) ৩৪৯জন, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠ কর্মী (এফ ডাব্লিউ এ) ৩৫০ জন, স্বেচ্ছাসেবী (ভলেন্টিয়ার) ৪ হাজার ৮০৭ জন। এদের তদারকি করার জন্য স্বাস্থ্য পরিদর্শক ১৫ জন, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ৭০ জন, এফপিআই ৯৪ জন, এসএসিএমও (স্বাস্থ্য) ১১০ জন, এসসিএমও (পরিবার পরিকল্পনা) ৫৪ জন ও এফডাব্লিউ ৯০ জনকে নিযুক্ত করা হয়েছে।