রাজশাহী অঞ্চল তুলা চাষের জন্য সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭, ১২:১৬ পূর্বাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক


অর্থকরী ফসল তুলার উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ভ’-সংস্থান ও অনুকুল আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে এই অঞ্চল সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।
অন্যান্য ফসলের চেয়ে তুলা চাষের মাধ্যমে অধিক অর্থ পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে তুলা চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
গত কয়েক বছর ধরে রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর ও পাবনার অংশবিশেষ সহ এই অঞ্চলে তুলা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কৃষকেরা ধান ও আখ চাষের পরিবর্তে তুলা চাষ করছেন। কারণ তুলা চাষে খরচ কম এছাড়া শ্রমিকও কম লাগে।
খোর্দ গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক আব্দুস সাত্তার মিয়া বলেন, অধিকাংশ কৃষক সিবি-১২ ও হাইব্রিড জাতের রুপি-১ ও ডিএম-১ ও ২ সহ বিভিন্ন জাতের তুলা চাষ করছেন।
বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম গ্রামের একজন আবু সালেহ আহমেদ বলেন, ‘‘গত বছর আমি ৬০ ডেসিমেল জমিতে তুলা চাষ করে ২০ মণ তুলা উৎপাদনের মাধ্যমে ৬০ হাজার টাকা আয় করেছি।’’
তিনি আরো বলেন,‘‘ ভাল ফলন পাওয়ায় আমি এবছর চার বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছি।’’
বাজুবাঘা গ্রামের কৃষক মনিরুল হক বলেন, তিনি চার বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছেন এ থেকে ৭০ হাজার টাকা আয় করবেন বলে আশা করছেন।
তিনি বলেন, যদি সংশ্লিষ্ট সেক্টর থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় ও গুরুত্ব দেয়া হয় তবে তুলা উৎপাদন সম্প্রসারিত করা যেতে পারে।
তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘‘আমরা তুলা চাষিদের বীজ প্রস্তুত, জমি তৈরি ও ফসলের পরিচর্যার বিষয়ে সহযোগিতা করছি।
তিনি আরো বলেন , আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তাহলে চলতি মৌসুমে তুলার বাম্পার ফলন হবে।
মূখ্য তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, চলতি বছর এ অঞ্চলের এক হাজার ৫৭৮ হেক্টর জমি তুলা চাষের আওতায় আনা হয়েছে এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে দশ হাজার বেল। গত অর্থ বছরে ১৪৫ হেক্টর জমিতে তুলা চাষ করে ছয় হাজার ৭৩৬ বেল তুলা উৎপাদন করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, দেশের বস্ত্র শিল্পের বাৎসরিক চাহিদার তিন থেকে পাঁচ শতাংশ স্থানীয় চাষিরা পূরণ করতে পারেন বাকি চাহিদা আমদানির মাধ্যমে মেটাতে হয়।
তিনি সম্ভাবনাময় তুলা উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে বিদ্যমান জাতীয় সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, তুলা উন্নয়ন বোর্ড এই সেক্টরের উন্নয়নের লক্ষ্যে পাঁচ বছর ব্যাপী ‘‘তুলা চাষ সম্প্রসারণ’’ শিরোনামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে দেশের বিদ্যমান বাৎসরিক তুলা উৎপাদন একলাখ বেল থেকে বৃদ্ধি পেয়ে আট থেকে দশ লাখ বেলে উনীœত হবে। এতে প্রতি বছর চাঁচ থেকে ছয় হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।- বাসস

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ