মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাসের স্টাফদের মারধর ও বাস আটকে রাখার প্রতিবাদে রাজশাহী-ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকরা। এতে ভোগান্তি পড়ে সাধারণ মানুষ। অনেকে নির্ধারিত সময়ে বাস ছেড়ে না দেয়ায় বিড়ম্বনায় পড়েন। এছাড়া শিরোইল টার্মিনাল এলাকায় রাস্তা অবরোধ থাকায়ও ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ জনগণ। দীর্ঘ সময় ওই রাস্তা দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেয়া হয় নি।
পুলিশ ও শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যদের সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা ৬টার দিকে রজনীগন্ধা পরিবহনের একটি বাস মোহনপুরের কেশরহাট হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে নওদাপাড়ার আমচত্বর মোড়ে আসলে ট্রাকের শ্রমিকরা ওই বাস আটকে রেখে শ্রমিকদের মারধর করে। এর প্রতিবাদে ও দীর্ঘসময় পার হয়ে গেলেও বাস ছেড়ে না দেওয়ায় রাত ৯টা থেকে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকরা শিরোইল বাস টার্মিনাল থেকে সবধরনের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। রাত সাড়ে ১১টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ ছিল। এতে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ জনগণ। ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাংকলরির শ্রমিকদের অভিযোগ ছিল, ট্রাক শ্রমিকদের উত্তরাঞ্চলে পণ্য পরিবহন বন্ধ ছিল। এই সুযোগে ওই বাসের ছাদে করে মালামাল পরিবহন করা হচ্ছিলো। তাই তাদের আটকে রাখা হয়েছে।
ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য বাসে উঠেছিলেন হিমেল নামের ৪০ বছরের এক যুবক। তিনি বলেন, ৯টা থেকে বসে আছি। বাস ছেড়ে দেওয়ার কথা কিন্তু বাস ছেড়ে না দেওয়ায় যেতে পারছি না। এখন কখন বাস ছাড়বে তার কোনো ঠিক নেই।
জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ মো. গাজী বলেন, ৬টার সময় বাস আটকে রেখে মারধর করা হলেও আমরা বাস চলাচল বন্ধ করি নি। চেষ্টা করেছি বাস ছাড়িয়ে নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করতে। কিন্তু তারা বাসটি ছেড়ে না দিয়ে অধিকন্তু ওই রাস্তা দিয়ে সবধরনের বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এর প্রতিবাদে আমরা ঢাকায় চলাচলের সব পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি। বাসে পণ্য পরিবহনের বিষয়ে তিনি বলেন, একজন লোকের ব্যক্তিগত মালামালই পরিবহন করা হচ্ছিলো। এছাড়া রাজশাহীর কেশরহাট, বায়া ওই অঞ্চল মালামাল বাসে করেই পণ্য পরিবহন করা হয়। আর তারা যে মালামাল পরিবহন করতে দিবে না তা-ও তো বাস মালিকদের জানায় নি। লিখিতভাবে জানানো হলে সব বাসকে পণ্য পরিবহনে নিষেধ করে দেওয়া হত। এরপরও ওই নওদাপাড়ায় রাস্তা চলাচলের জন্যে ছেড়ে দেওয়া হলে। শিরোইল থেকেও বাস চলাচল শুরু করবে।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম বাদশা বলেন, বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে একটা মীমাংসে যাওয়া যাবে।