রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা আজ থেকে ।। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ সম্পন্ন হোক

আপডেট: অক্টোবর ২৩, ২০১৬, ৯:৫০ অপরাহ্ণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের ¯œাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আজ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চারটি শিফটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবার ৫৬ টি বিভাগ ও দুটি ইনস্টিটিউটে ৪ হাজার ৭১৩টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন  ১ লাখ ৭৮ হাজার ৯ শত ৪৯ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।

 
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে। ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দেশের সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলা ও একটি হলে লাশ উদ্ধারের ঘটনায় সতর্কতা হিসেবে ব্যাগ নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং পরীক্ষায় জালিয়াতি রোধে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন এবং পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে প্রক্টর দফতর, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট এবং রাষ্ট্রীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথেও যোগাযোগ করা হয়েছে। তারাও সতর্ক থাকবেন। ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন ক্যাম্পাসে যানবাহন চলাচলে বিশেষ বিধি আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া কোন প্রকার ব্যাগ নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করা যাবে না। পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোনসহ সকল ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস বহন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

 
ক্যাম্পাসের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে একটি মোবাইল কোর্ট অবস্থান করবে। যদি কোউ পরীক্ষায় জালিয়াতিসহ এ সংক্রান্ত কোন অপরাধ করে তবে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক বিচার করা হবে।
ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ইতোমধ্যেই বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকগণ নগরীতে অবস্থান নিয়েছেন। সকলেরই প্রত্যাশা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হবে। বড় একটি কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সতর্ক অবস্থানে আছেন। এ ক্ষেত্রে সব মহলের সহযোগিতা দরকার। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পরীক্ষার্থীসহ সকলের দায়িত্ব রয়েছে নিয়মকে সঠিকভাবে মেনে চলা। এর ব্যত্যয় ঘটানোর তৎপরতাও থাকতে পারে কিন্তু সকলে সচেতন হলে সব ধরনের বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। একটি জালিয়াতি চক্র পরীক্ষার সময় সক্রিয় হয়ে ওঠে।

 

 

নকল প্রশ্নপত্র তৈরি করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রভাবিত করে অর্থ আদায়ে প্রতারণার আশ্রয় নেয়। এ ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়ে অনেক সময় শিক্ষার্থী ও অভিভাবগণ বিভ্রান্ত হন এবং পরীক্ষার্খীরাও মানসিক চাপ অনুভব করে।  এ থেকে মুক্ত হওয়ার একটিই উপায় তা হলে গুজবের বিষয়টিকে গুরুত্ব না দেয়া।
আমরা প্রত্যাশা করবো, পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে এবং কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে প্রশাসন ত্বরিৎ ব্যবস্থা নিবে।