রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতা নেপথ্যের কুশিলব কারা?

আপডেট: মার্চ ১৩, ২০২৩, ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ

খুবই তুচ্ছ একটি ঘটনা। অথচ তাতেই বেধে গেল তুলকামাল কান্ড। সংঘর্ষ, মারামারি, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ভাংচুর, অগ্নিকা-। তাতেই আহত তিনশতাধিক।
দৈনিক সোনার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে বাস সুপারভাইজার এবং স্থানীয়দের এই সংঘর্ষ বাধে। শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে এই ঘটনা ঘটে। তুচ্ছ এই ঘটনার পর যা হয়েছে তা উদ্বেগ সৃষ্টিকারী। শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলানোর পাশাপাশি সিনেট ভবনের পাশে উপাচার্যকে দুঘণ্টা ঘিরে রাখে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা এ ঘটনায় বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যায়ের প্রশাসন, মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি-এর সদস্যরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সংঘর্ষেও ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়
ছোট-অতি সামান্য একটি ঘটনা বড় হল কীভাবে এ প্রশ্ন সকলের। এর পেছনে কেউ কী কলকাঠি নেড়েছে? এমনটি না হলে সহিংসতার বিস্তার এতো ব্যাপক হওয়া খুবই অস্বাভাবিক। এই ভাবনা এখন সকলের মনে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিস্থিতি হঠাৎ করে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলো, সহিংসতা ছড়াতে থাকলো। এর পিছনে কেউ ইন্ধন না যোগালে এরূপ হওয়া সম্ভব নয়। ঘটনার পরম্পরা বিচার করলে ঘটনার তেমনই চরিত্র-বৈশিষ্ট্য স্পষ্ট হয়। এটা বেশ উপলব্ধি হচ্ছে যে, দেশের সর্বক্ষেত্রে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির একটি নেপথ্য প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। সরকার পতনের ক্ষেত্রে সর্বশেষ অস্ত্র হিসেবে দেশকে অস্থিতিশীল করার তৎপরতা চালানো অস্বাভাবিক কিছু নয়। বাংলাদেশের রাজনীতির ধারায় এ ধরনের অন্তর্ঘাতমূলক কাজের বহু ঘটনাই আছে। সাম্প্রদায়িক- স্বৈরাচারি শক্তি দেশকে বারবার ক্ষত-বিক্ষত করেছে তবুও দেশের মানুষ তা মোকাবিলা করেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
এটা পরিষ্কার যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ভাবার কোনোই সুযোগ নেই। সহিংসতা ছড়ানোর জন্য প্রত্যক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে দায়িদের শনাক্ত করাটা খুবই জরুরি। নতুবা ষড়যন্ত্রকারীরা আরো বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটাতে পারে। নিবিড় তদন্ত করে দায়িদের শনাক্ত কনে আইনের আওতায় এনে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ